সাধু

(উৎসর্গ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে)
আব্দুছ ছালাম চৌধুরী
সময়ের চিরচেনা কবি কাজী নজরুল,
আজও তার কবিতায় ফুটে বকুল ফুল।
সেদিন---
কেবলই সয়েছেন,আর মুখ বুঁজে সয়েছেন !
লিখেছেন--
কবি বলেই লিখে যাবো
শুধু মানুষের কথা,
সমাজপতিরা সাধু সেজে
আজও দিচ্ছে ব্যথা।
নর বলে----
নারী অধর্ম করে,ঐ পর্দার আড়ালে,
নারী বলে কোন্ সে নর,দেবে জন্ম,নারী না হলে।
মৌলভী সাহেব হাঁকিয়ে বলে বেড়ান,
হাঁটুর উপরে লুঙ্গি তুলিলে,আনিবো তুফান।
কৈফিয়ত কি--
শুনতে চাহে না কেউ,
ধর পাকড়াও করে এনে,জনসম্মুখে করে ঘেউঘেউ।
ক্ষুধা, দারিদ্রের কোন্ সে কষাঘাতে আছে
ওরা কারা
কেনো ধুঁকে ধুঁকে মরে,
পাপ পূর্ণ হইয়াছে বলে,চলে হট্টগোল---
পঞ্চায়েত ডাকিয়া কহে, ধরে আনো তারে।
ব্যভিচারী!
পথভ্রষ্ট বলে ললাটে মাখিলো যারা,
তারাই আবার মাটিতে পুঁতে,পাথর নিক্ষেপ
-----করে, করে গৃহ হারা।
রক্তাক্ত জখম শেষে ---
অনেকেই সাধু সেজে,চলে নিজ বাড়ি,
তড়িপার করে তারে,বলে
যা যা--যা- গ্রাম ছাড়ি।
সকলই সয়েছি, শুধুই সয়েছি
সয়ে যাই সাধুদের আচরণ,
জাতপাতের আড়াআড়ির রোষানলে
কলুষিত এই মন।
মানুষে মানুষে হানাহানি, ধর্মের নামে চলে বিদ্রোহ,
সেই ধর্মই বলে ---
ওরে মানুষ, মানুষে মানুষে আনো সমতা, মমতায় বেঁধে তারে,নিয়ে করো সমারোহ।
মানুষ বাঁচিলে ধর্ম বাঁচিবে
বাঁচিবে সমাজপতি,
দু'বেলা ভাত দে,লজ্জা ঢাকিতে কাপড় দে
তারপর--
না হয় চালিয়ে দিস্,ঐসব রীতিনীতি।