অভিশপ্ত জীবন

অভিশপ্ত জীবন

সঞ্জয় কুমার কর্মকার

অভাবের উৎপীড়নে দক্ষতা আর নেই, আত্মসম্মান বৃদ্ধির উপায় গুলো আজও বিরত হয়ে থাকে।

আগ্রাসী মূলক আচরণের প্রতি আকর্ষণ ও নেই, নিজস্ব ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণতার প্রতি সচেতনতা, সবই যেন ঘোরাচ্ছন্ন কঠোরতায় জড়িয়ে আছে।

মানুষের আজ শুধু অভুক্ত যাপন, অপদার্থ জঘন্য অপরাধের তলানিতে জীবনটা আর বোধগম্য নয়। 

কী লজ্জা, কী লজ্জায় ভরা অভিশপ্ত জীবন, আকুন্ঠ উদারতায় ভরা অনন্ত আলোর অগাধ অবদান গুলো যেন ঐশিক বৈচিত্র্যকে পরাজিত করে যায়।

পৃথিবীর দুর্ভিক্ষের কবলে মানুষ আজ কতোই অযোগ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো যেন আজ অতিক্ষুদ্র হয়ে গেছে, অচল হয়ে গেছে জাগতিক সব কর্ম, নগণ্য মানুষের জীবন নির্বিকারে শুধু চেয়েই থাকে... 

রূপোলী আলোর মতোন অসহায় শরৎ বিবর্ণ হয়ে থাকে... অদৃশ্য মহামারি অসহায় মানুষ, প্রতি নিয়ত প্রভাতী সূর্যের আলোয় পাখিরাও কাতরতায় ডাকে। 

মানুষ এখনো কতোই বিপন্ন আত্মমগ্নে সজাগ হয়ে থাকে, লোভ, লালসা, হিংসা বিদ্বেষ নিয়ে জীবনের অতিক্রম, কী নির্মম কী বেদনাদায়ক মরণথাবা, বিচ্ছিন্ন করে সামান্য সামর্থ্যের মাঝে জীবনটা এখন শুধু সীমিত হযে থাকে।

দিগন্ত ছুঁয়ে বইছে বিনম্র ঝাঁঝালো বাতাস, হেলে পড়া সূর্যের অস্তগামী আলো গুলো মুঠো মুঠো রঙ ছড়িয়ে দিনান্তের শেষে অবকাশ জানিয়ে দিয়ে যায়।

মৃদুমন্দ বাতাস জুড়ে দৃশ্যরা শুধুই নির্বাক করে যায়, বুকভরা নিশ্বাস, মনে প্রশান্তির জোয়ার, ফুলে ফুলে সোনারাঙা কতো আনন্দের হাসি, অগ্রীম দুশ্চিন্তা গুলো প্রত্যাশা নিয়ে বাস্তবের অভিমুখে অগ্রসর হয়ে যায়।

 

দুঃখরা শুধু কষ্টের মাঝে নিঃশব্দ প্রত্যাশা গুলো থেকে নির্লজ্জের মতোন উত্তোলনের কথা বলে যায়।।