আমি একুশে ফেব্রুয়ারি
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন।
আমি একুশ। একুশে ফেব্রুয়ারি।
হ্যাঁ, ওখানেই আমার আপত্তি।
আমি বাঙালি জাতির জন্য, বাঙলা ভাষার জন্য,
উর্দু ভাষী বন্দুকবাজদের বিরুদ্ধে
ঢাকার রমনায়
বুক চিতিয়ে লড়াই করেছি।
আমার সন্তানের রক্তে
ঢাকার রমনা ময়দান সেদিন
লালে লাল হয়েছে।
আমার মুসলিম সন্তানদের বুকের
রক্তে রঞ্জিত হয়ে
আমি বিশ্ববন্দিত হয়েছি।
তারপর থেকেই আজকের দিনটাকে ভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
হ্যাঁ, আমার প্রতিবাদ এখানেই।
রবি ঠাকুরের জন্মদিন ও মৃত্যু দিন যদি বাংলা তারিখ মেনে হয়
দুর্গাপূজা যদি বাংলা পঞ্জিকা মেনে হয়,
বানী বন্দনা, ঈদ, সবেবরাত যদি বাংলা তারিখ মেনে হয়
তাহলে আমার জন্মদিন কেন বাংলা তারিখ মেনে হবে না?
এ তো শাড়ি, চুড়িদার, সালোয়ার কামিজে না সাজিয়ে অন্য এক পোশাকে সাজানো হলো আমাকে।
আমি এ সাজে সাজতে চাই না।
জোর গলায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তোমারও এতে সামিল হও।
হিন্দু মুসলমান নয় , যৌথভাবে সব্বাই।
আমি ও আপনারা সবাই আজকের দিনটাকে ভাষা দিবস হিসেবে পালন করছি।
তবে বাংলা তারিখ ও সন নেই কেন? কেন তার অনুপস্থিতি?
তাহলে বাংলা পঞ্জিকার কি কোনো
প্রয়োজন নেই আর?
হে আমার বীর সন্তানের দল--
জানি তোমরা সাহসী
বলো-- "মাগো ভাবনা কেন?
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি "
প্রয়োজনে আবার শহীদ হব ঐ রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতদের মতোই। আমরা
রক্ত দেব-- পরিবর্তে মায়ের সম্মান চাই।
মনে রেখো --
আমি তোমাদের জননী।
আমি বিধ্বংসী, --আমি আগুন--
আমি প্রতিবাদী -- আমি মাতৃভাষা বাংলা।।