ঈদের স্মৃতিচারণ/

ঈদের স্মৃতিচারণ/

ঈদ করতে দেশে যাই
সামার হলিডে, অনেক দিন পর বাংলাদেশে যাচ্ছি। মনটা খুব খুশি ভাই বোন, ভাই বোনের ছেলে মেয়ে সবাইকে নিয়ে কুরবানির ঈদ করব। ছেলে মেয়ে ও যাবে ঈদের ২ দিন আগে। দেশে খুব গরম তারপর ও আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করলাম। বাচ্চাদেরকে দেশের ঐতিহাসিক স্হানগুলি ঘুরে ঘুরে দেখালাম। ওরা সবচেয়ে বেশি এনজয় করেছে আত্বীয় স্বজনের সাথে দেখা হওয়াতে। নৌকা ভ্রমন, চা বাগান, মনিপুরি পাড়া ওদের খুব ভাল লেগেছে। গাড়ি থেকে ওরা  রিক্সা চড়তে ভালবাসতো।  
সবকিছুই ছিল কিন্তু একটা অভাব ছিল মা বাবার বাড়িতে ঈদ করেছি মা বাবা ছাড়া। শেষ কবে ঈদ করেছিলাম মা বাবার সাথে মনে নেই। মা বাবা বেঁচে থাকলে কি যে খুশি হতেন! 
ঈদের জামাত শেষে যখন আমার ছেলেরা আমার মা বাবার কবর জিয়ারত করে আসল আমার আনন্দে বুকটা ভরে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল আম্মা আব্বা হয়তো আমাকে দেখছেন ওপার থেকে আমাকে বলছেন আমরা নেই তো কি হয়েছে তুমার বাচ্চারা আছে। ওদের মাঝেই আমাদেরকে পাবে। 
বাচ্চারা কোনদিন কুরবানি দেয় নাই দেখে নাই বা কুরবানির ঈদের মর্ম কি তাদের জানা ছিলনা। সেগুলো জানানো শিখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর তাছাড়া দেশের আত্নীয় স্বজন সবার সাথে ওদের সেতুবন্ধন তৈরী করা আমার খুব ইচ্ছা ছিল। এবং আমি তা পেরেছি।