উপহারের গাড়ি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে: হিরো আলম

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

অবশেষে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এসে উপহারের গাড়ি গ্রহণ করেছেন আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তবে উপহারের গাড়িটি নিজে ব্যবহার করবেন না। এটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে এসে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমানের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র ও চাবি গ্রহণ করেন হিরো আলম।

হিরো আলমের আগমন উপলক্ষে নরপতি গ্রামের মখলিছুর রহমানের বাড়ির প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল ভিড়। বেলা আড়াইটায় হিরো আলম অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাহারের সভাপতিত্বে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমান হিরো আলমকে নোয়াহ গাড়ি (মাইক্রোবাস) উপহার দেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেস্ট ও গাড়ির চাবি-কাগজপত্র গ্রহণ করেন হিরো আলম।

হিরো আলম তার বক্তব্যের শুরুতেই মঞ্চ থেকে অতিরিক্ত মানুষকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা মঞ্চ ভেঙে পড়ার ভিডিও দেখেছি। তাই আমাদেরও যাতে সেরকম না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত মানুষকে মঞ্চ থেকে নামতে হবে।

হিরো আলম উপহারের গাড়ি নিয়ে বলেন, ভালোবাসার উপহার গাড়ি গ্রহণ করলাম। কিন্তু আমার গাড়ি আছে। আমি এখানে এসেছি ভালোবাসার টানে। এই ভালোবাসার উপহার আমি গ্রহণ করেছি। তবে গাড়িটি দরিদ্র রোগী ও মরদেহ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে।

প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমান বলেন, হিরো আলম বাংলার বাঘ। বগুড়ার দুটি আসনে নির্বাচনের সময় ফেসবুকে আমার ভাই হিরো আলমকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে ছোট্ট উপহার হিসেবে নোয়াহ গাড়িটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিই। এরপর মিডিয়ায় আমাকে গালিগালাজসহ নানা ধরনের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়। আজ হিরো আলম এসে সবকিছুর জবাব দিয়েছেন।

এদিকে চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে আসার পথে শায়েস্তাগঞ্জে অধিক স্পিডে গাড়ি চালানোর অপরাধে হিরো আলমকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।