একজন কবি ,গীতিকার ও সংগঠক

একজন কবি ,গীতিকার ও সংগঠক

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব

আচ্ছালামু আলাইকুম।

লেখার সুচনা লগ্নে আমার 

অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গৃহীত হোক।আমি একজন সুদর্শন ও ক্ষুরধার লেখক কে নিয়ে লিখতে যাচ্ছি,যিনি শ্যামল সাহিত্য পরিষদ এবং কবিতা ঘরের কর্ণধার যিনি আমার

ফেসইবুকের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পঠনে কথনে সহযোগী হয়ে আছেন এবং কবিতা জগতে যিনি দাপটের সহিত নিজের যোগ্যতা দিয়ে পাঠকের মনে স্থান দখল করে নিয়েছেন, যার হাতের আলতো ছোঁয়ায় শব্দ গুলো কবিতা হয়ে ওঠে,যার কলমের খোঁচায় অনেক লেখা হয়ে ওঠে গল্প কিংবা উপন্যাস।যিনি মিষ্টি ভাষা দিয়ে কেড়ে নেন মানুষের মন,যার সুন্দর আচরণে চাঁদ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে,যার কথার পরশে ক্লান্ত মন শিহরিত হয়ে ওঠে, সেই অসামান্য লেখক কে নিয়ে আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হলাম। কলম খানি সব সময় ন্যায়ের কথাই বলে। তাই আমি কলম দিয়ে লিখতে কার্পণ্য করতে রাজি নই। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ,কারো না কারো প্রশংসা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।লেখকের কথা কলমের নিবে কতটুকু তুলে আনতে পারবো,আমি জানি না ,তবুও চেষ্টার কোন ক্রটি করবো না।কিছুটা হলেও নৌকায় পাল তুলে সাগর পাড়ি দেব।

সুদর্শন ও ক্ষুরধার লেখকের ও গীতিকারের নাম আব্দুছ ছালাম চৌধুরী।যেমন উনার নাম তেমনি উনার গুণাবলী।লেখক আবদুছ ছালাম চৌধুরী একজন নম্র ভদ্র উজ্জ্বল মনের অধিকারী। লেখক কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কলম চালিয়ে যান অবিরত। কাগজের গায়ে শক্ত হাতে কলম ধরে ।লেখক ইতিমধ্যে অনেকের মনে একটা সুন্দর জায়গা করে নিয়েছেন আমার জানা মতে।লেখক আব্দুছ ছালাম চৌধুরী উনার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়, সেই পরিচয় সূত্র ধরে গড়ে উঠেছে উনার সাথে এক পবিত্র বন্ধন।সেই বন্ধনে,

কোন ঝড় তুফান আঘাত আনতে পারেনি,কখনো পারবে ও না।

কথায় আছে ভাল ফলের ভাল স্বাদ।তাই সেই স্বাদের কথা কি লুকিয়ে রাখা যায়?বারবার সেই স্বাদটুকুর কথা কলমের নিবে ওঠে আসে। আমার প্রিয় লেখকের অমায়িক ব্যবহার আমাকে সর্বদা আকৃষ্ট করে।মানুষের কদর মানুষেই করে।তাই আমি কদরের কোথাও কমতি রাখিনি।যথা সাধ্য চেষ্টা করেছি উপযুক্ত কদরের মূল্যায়ন করতে।সুঁই সুতা দিয়ে যেভাবে কাঁথা তৈরি করা হয়,তেমনি ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাষার মাধ্যমে গভীর সম্পর্ক তৈরি করা যায়।আর সেই গভীরতার মাঝে ফুটে ওঠে হাজারো সুগন্ধি ফুল।সেই ফুল শুধু সুবাস ছড়াতে জানে।

লেখক আব্দুছ ছালাম চৌধুরীর মত সুন্দর মনের মানুষকে আপন করে নিতে, কে না চায়।সেই সুন্দর মনের লেখকের লেখা গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে।কথার ফাঁকে ও কথা থেকে যায়।না বলা কথা গুলো উঁকি মারে হৃদয়ের জানালায়। তবুও জানালার ফ্রেম থেকে বের করে নিয়ে এলাম আটকে পড়া কিছু না বলা কথা।

বন্ধন হলো মজবুত দুয়ারের তালা চাবি।সেই তালার তল্লাশে চাবি নিয়ে ঘুরেছি দিনের পর দিন।এসাহিত্যের পথে হাঁটতে গিয়ে অনেক মানুষের সাথে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।সেই বন্ধনের

করিডোরে নিজেকে পুঁতে রেখেছি অনেক বছর ।বেঁচে আছি মানুষের বন্ধনের সুতো ধরে।আজ আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি নদীর তল পেট থেকে লেখক আব্দুছ ছালাম চৌধুরী কে নিয়ে কিছুটা লিখতে পেরে।

চা প্রান করতে যেমন চিনির প্রয়োজন হয় তেমনি করে কাউকে ভালোবাসতে সুন্দর একটা মনের দরকার হয়।লবণ ছাড়া যেমন তরকারির স্বাদ পাওয়া যায় না তেমনি ভালো বন্ধু ছাড়া রঙিন স্বপ্ন দেখা যায় না।পানি ছাড়া যেমন তৃষ্ণা মিটে না তেমনি কাছে থাকা বন্ধু ছাড়া গল্প জমে না।সঠিক ভাবে পথ চলতে যেমন অনেক দূর হাঁটতে হয় তেমনি ভাবে কিছু রত্ন চিনতে নিজেকে করতে হবে ক্ষয়।সব কিছুর পর খুঁজে পাওয়া যাবে জীবনের আসল জয়।

                              শুভকামনান্তে       

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব