একসঙ্গে মুক্তাদির-আরিফ

একসঙ্গে মুক্তাদির-আরিফ

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

সিলেট বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা। একজন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির অন্যজন সিলেটের বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সামনে জেলা বিএনপির ইফতার। নতুন কমিটির হাত ধরে বড় কোনো অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে সিলেটে। প্রায় ৪ হাজার মানুষের ইফতার। সিলেটে বিলাসবহুল কমিউনিটি সেন্টার কুশিয়ারাতে চলছে এই আয়োজন। আর এই আয়োজনের ফয়সালা করতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বৈঠকে বসেছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয় খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরীকে।

দু’জনই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেছেন। পরামর্শের পাশাপাশি সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তারা। সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, ২৯শে মার্চ সম্মেলনের আগে সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে নেতারা বিভক্ত ছিলেন। পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে তারাও মাঠে সরব ছিলেন। কিন্তু নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ার পর ফের সবাই এক হয়ে গেছেন। তারা এক টেবিলে বসছেন। তাদের মধ্যে হৃদ্যতাও বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দরগাহ গেটস্থ স্টার ফেসিফিক হোটেলের লবিতে বসেছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রায় সব নেতা। ঢাকা থেকে এসে সিলেটের ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। নতুন নির্বাচিত বিএনপির নেতারা অভিভাবক হিসেবে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে মানছেন। আর জেলা বিএনপির সব কিছুতেই খন্দকার মুক্তাদিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।

একইভাবে কাউন্সিল থেকে সরে দাঁড়ানোর পর আরিফও নীরব হয়ে যান। তাকে নিয়েও নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তবে- শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকায়ই অবতীর্ণ হন তিনি। বর্তমান জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে আরিফের ভালো সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কারণে জেলার নেতাদের কর্মকাণ্ডে আরিফুল হক চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ইফতার আয়োজনে সামনে থেকে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির একজন সজ্জন নেতা। দলের প্রয়োজনেই তিনি সিলেটে রাজনীতি করছেন এবং দলের সব বলয়ের নেতাদের নিয়ে তিনি চলছেন। এর কারণ তুলে ধরে তারা বলেন, সিলেট-১ আসনে আগামী দিনেও বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। গত নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। ফলে তার সংসদীয় আসনে তিনি সব নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে চলছেন। ঐক্যবদ্ধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন মুক্তাদির। আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে নগরপিতা। সামনে সিটি নির্বাচনও। ফলে বিএনপির মধ্যেও ঐক্যবদ্ধতা ফিরে আনতে আরিফ নিজেও ভূমিকা রাখছেন। দলীয় সব কর্মকাণ্ডেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেট বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। দ্বন্দ্ব নেই। জেলা বিএনপির নির্বাচিত মাজার জিয়ারতের দিনও সঙ্গে ছিলেন সিলেট বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মুক্তাদির ও আরিফ। যখনই প্রয়োজন হয় তখনই তারা ছুটে আসেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এতে করে বিএনপির বর্তমান কমিটি তাদের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ই এপ্রিল সিলেট জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল। এ উপলক্ষে আমরা প্রস্তুতি সভা করেছি। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নেতা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী। তাদের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিয়েছি। আমরা মনে করি- বিএনপি পরিবারভুক্ত একটি সংগঠন। দলের প্রয়োজনে সিলেটের সবাই এক। এখানে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে সিলেটে বিএনপি পরিবারের সব নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।