জেগে উঠো কবি
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী
ওহে নিদ্রাহীন স্বপ্নীল কবি!
তুমি আজ এতটা তন্দ্রাচ্ছন্ন কেন!
তোমাতে দেখছি প্রচন্ড অলসতার ছাপ,
তুমি কী তবে ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে পড়েছো?
তোমার মসৃণ অবয়ব ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছে,
বেদনায় কাতর আঁখি দুটো টলমল রক্ত লাল হয়ে আছে।
তুমি হাঁপিয়ে উঠেছো এতটুকুন চাপেই!
এতটুকুন হোঁচটেই বসে পড়েছো!
ঘাবড়ে গিয়েছো সামান্য বাঁধাতেই?
না না এ হতে পারেনা, অসময়ে ঘুমাতে পারোনা তুমি!
লোপ পেতে পারেনা তোমার বোধশক্তি।
তুমি যে স্বাধীনচেতা মুক্ত মনের এক স্বপ্নীল কবি।
হরেক রকম বাঁধা বিপত্তি আসবেই
গৃহের বোধহীন মানুষগুলোর কথায় তুমি ভেঙে পড়তে পারোনা!
তুমি জেগে ওঠো---
জাগাও তোমার চেতনার ক্ষুরধার।
সুখ লালিত্য সব ঝংকার
মন থেকে মুছে ফেলে
হৃদ গভীরে জমাট বাধা জড়তাদের
বিদায় জানাও এবার!
রক্ষা করো তোমার দেয়া প্রতিশ্রুতির ব্যঞ্জনা
হও বদ্ধপরিকর! অটুট থাকো সিদ্ধান্তের নির্মম সত্যে।
গদ্যের কড়া হাতুড়ি নিয়ে আবারও বসো টেবিলে,
কলম যুদ্ধে সক্রিয় হও পুনরায়--
থাকো মনন কাব্যের ভীড়ে।
বুকের গহীনে আগলে রাখো আমার দেয়া প্রীতি
তোমার হাতেই দিলাম আমার স্বনির্ভরতার চাবি।
দিলাম আমার অস্তিত্ব যেথায় তোমার বসবাস;
আর কত নিশিদিন কাটাবে তুমি বিনিদ্র?
চেয়ে দেখো!--
অস্থিরতায় দিন কাটে তোমার কাব্য সারথির,
এবার শান্তি দাও, ফিরিয়ে দাও স্বস্তি।
দিয়েছো তো প্রতিশ্রুতি সম্ভ্রমের আরও দাও অস্থি,
আমি তোমায় দেব এক নদী রক্ত!
আসুক না পথে যতই বাধা, আরও যত প্রস্তর শক্তি।
তুমি নীলিমার অজস্র তারার মাঝে একখানা চাঁদ,
তাই জোৎস্নাভরা রাতে কিংবা আলোকোজ্জ্বল প্রভাতে,
আমি তোমার অস্থিমজ্জায় কেবল ব্যাকুল হয়ে থাকি।
আমার বুকের অন্তঃপুরে শুধুই তোমাকে পুষে রাখি।