তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে আইরিশদের বিরুদ্ধে ২২ রানের জয়

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করেছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে আইরিশদের ২২ রানে হারিয়েছে সাকিব বাহিনী। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে চার বল আগেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। যার কারণে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান সংগ্রহ করে সাকিব বাহিনী।

বৃষ্টি থামার পর ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সফরকারীরা। তবে তাসকিনের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং ফিগারে (৪/১৬) নির্ধারিত সময়ে ৮১ রানেই থেমে যায় আইরিশদের ইনিংস। ফলে ২২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় স্বাগতিকরা।

১০৪ রান তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। আইরিশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পল স্টার্লিং প্রথম ৪ বলের মধ্যে তিনটি বলকেই সীমানা ছাড়া করেন, একটি মারেন আরেক ওপেনার রস এডাইয়ার।

দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের ওভার থেকে ১৪ রান নেন আইরিশরা। যার মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মারেন এডাইয়ার, আরেকটি বাউন্ডারি আসে লেগ বিফোরের সুবাদে। তাতে দুই ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩২ রান তুলে ফেলেছিল সফরকারীরা।

তবে বোলিংয়ে এসেই আইরিশদের চেপে ধরেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার বুদ্ধিদ্বীপ্ত বোলিংয়ে নিজের করা প্রথম তিন বল ডট দেন। এরপর চতুর্থ বলে এডাইয়ারকে ক্লিন বোল্ড করেন তিনি।ওই ওভারে হাসান দেন মাত্র ৫ রান।

চতুর্থ ওভারে তাসকিন বোলিংয়ে এসেই আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ লণ্ডভণ্ড করে দেন। ডানহাতি এই গতি তারকা ৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। অধিনায়ক স্টারলিংসহ দুই ব্যাটারকে বোল্ড, একজনকে ক্যাচ বানান ডানহাতি এই পেসার।

পঞ্চম ওভারে হাসান মাহমুদকে ৩ বাউন্ডারিসহ ১৬ রান তুলে নিয়ে ফের উত্তেজনা তৈরি করে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে সাকিব করেন দুর্দান্ত বোলিং। চার ডট দিয়ে ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করেন টাইগার অধিনায়ক।

এরপর আর আইরিশরা রান তাড়ায় ছুটতে পারেনি। ফলে ৫ উইকেটে ৮১ রানেই থামতে হয় তাদের। তাসকিন ২ ওভারে ১৬ রান খরচায় একাই নেন ৪টি উইকেট। আরেকটি শিকার হাসানের।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান জড়ো করে লিটন দাস ও রনি তালুকদার বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন। তবে লিটন ৩ রানের জন্য পঞ্চাশের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। ২৩ বলে ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন লিটন।

তবে লিটনের বিদায়ের পরও আরেক ওপেনার রনি তালুকদার মাত্র ২৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। এরপর বিদায়ের আগে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৩৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে রনি মারকুটো এই হাফসেঞ্চুরি উপহার দেন।

শামীম পাটোয়ারি ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ২০ বলে ৩০ রান করেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন। বাউন্ডারি হাঁকান তিনটি।

সব মিলিয়ে চার বল বাকি থাকতেই ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রানেই থেমে যায় ইনিংস। ম্যাচে ১৭ বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা হাঁকায় বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী ২৯ মার্চ।