দুইশ রানের আগেই থামল পাকিস্তানের ইনিংস

বাংলাভাষী ডেস্ক::

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেছিল পাকিস্তানের ওপেনাররা। এরপর মিডল অর্ডারে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারে ভর করে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছিল তারা। তবে রানখরা কাটিয়ে ফিফটি হাঁকিয়ে পাক অধিনায়কের বিদায়ের পরই তাসের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। এতে দুইশ রানের আগেই থামল ম্যান ইন গ্রিনদের ইনিংস।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ ওভার ৫ বলে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান এসেছে অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট থেকে। এছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৯ রান।

পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে বোলিংয়ে ভারতের হয়ে জশপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদ্বীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা প্রত্যকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ইমাম-উল-হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। দেখেশুনে ব্যাট করে ভারতের বোলারদের ওপর চড়াও হচ্ছিলেন তারা। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শফিক। ২৪ বলে তিন চারে ২০ রানে ফিরেছেন তিনি।

এরপর ইমামকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার মিশনে নামেন অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু ভারতের চেপে ধরা বোলিংয়ে উইকেটে টিকে থাকতেই বেশি মরিয়া থাকতে হয় তাদের। তবে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ইমাম-উল-হক। ১৩তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার হাত ধরে ব্রেক থ্রু আসে। ইমামকে তিনি মাঠছাড়া করেন ৩৮ বলে ৩৬ রানে।

এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার মিশনে নামেন বাবর। দুজন মিলে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারে ভর করে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছিল তারা। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম দুই ম্যাচের রানখরা কাটিয়ে ৫৭ বলে ফিফটিও তুলে নেন বাবর। কিন্তু ফিফটি করেই সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান পাক অধিনায়ক।

দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন বাবর। তার বিদায়ের পরেই তাসের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। এক ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব। সৌদ শাকিলকে ৬ রানে এলবিডব্লিউতে ফেরানোর পর নতুন ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ ফেরেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।

তবে একপ্রান্তে রিজওয়ান দাঁড়িয়ে থাকায় কিছুটা আশায় ছিল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জয়ের নায়ক রিজওয়ান এদিনও ফিফটির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। কিন্তু এক রান বাকি থাকতেই বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফলে ৬৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৯ রানেই থামে তার ইনিংস। এরপর বাকিদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।