বিশ্ববাজারে ক্যানসারের ভ্যাকসিন আসছে চলতি দশকেই

বিশ্ববাজারে ক্যানসারের ভ্যাকসিন আসছে চলতি দশকেই

নূরজাহান শিল্পী 

মরণব্যাধী ক্যানসার প্রতিরোধে আশার কথা শুনিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম মডার্নার একদল গবেষক। ক্যানসারের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তারা আশা করছেন ২০৩০ সালের মধ্যেই তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন মানুষের দেহে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে।

দীর্ঘদিন এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা জানান, তাদের এই প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বেশ ভালো সাফল্য লক্ষ্য করা গেছে। গবেষকদের কয়েকজন বলছেন, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে তারা নিরলসভাবে কাজ করছেন। যদিও তাদের কাজে বড় ধরনের সফলতা আসে গত দেড় বছরে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার সময় এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে গতি বৃদ্ধি পায় বলেও জানান গবেষকরা।

ভ্যাকসিন সম্পর্কে মডার্নার প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেন, ‘আশা করছি আগামী ৫ বছরের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের মতো ক্যানসারসহ সব ধরনের রোগের চিকিৎসা মানুষকে দিতে পারব।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বে করোনা ভাইরাসের যতগুলো কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে, তার মধ্যে মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে নতুন করে ক্যানসারের বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডা. পল বার্টন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা এ ভ্যাকসিন খুবই কার্যকরী হবে। কয়েক কোটি মানুষের জীবন রক্ষা না করলেও কয়েক লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে এই ভ্যাকসিন। আমরা মনে করি, বিশ্বময় ক্যানসারের বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিতে পারব।’

কীভাবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে নতুন এই ভ্যাকসিন কাজ করবে? এ প্রসঙ্গে পল বার্টন জানান, ক্যানসারের ভ্যাকসিন শরীরের ভেতর যে ক্যানসার কোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটি নির্ণয় করে ইমিউন সিস্টেমকে সতর্ক করে দেবে। তারপর এই ভ্যাকসিন ক্যানসারের কোষগুলোর ওপর হামলা চালাবে এবং সেগুলো ধ্বংস করবে। শরীরের ভালো কোষগুলোর এতে কোনো ক্ষতি হবে না।

এছাড়া এটি ক্যানসার কোষগুলোর ওপর প্রোটিনের যে খণ্ড থাকে সেগুলো খুঁজে বের করবে, ইমিউন সিস্টেম সচল করবে এবং এরপর এম-আরএনএ-এর টুকরো তৈরি করবে যেটি শরীরকে নির্দেশনা দিবে কীভাবে এ প্রোটিন উৎপন্ন করতে হয়।