বাসযোগ্য পৃথিবী চাই

বাসযোগ্য পৃথিবী চাই

আব্দুছ ছালাম চৌধুরী

এখনো কোটি মানুষের স্বপ্ন আছল বিদেশ যাবার, তাও ঐ সকল দেশে, যেখানে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করিবার কিংবা বসবাসের যোগ্যতা আছে। 

সাধারণ মানুষকে এখনো যদি প্রশ্ন করেন, তুমি কোথায় যেতে চাও, সবার আগেই উত্তর আসবল ইউরোপ আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়া জাপান ইত্যাদি দেশের নাম—

কেনো আসে জানেন—

কারণ

যেখানে হিংসা বিদ্বেষ থাকলেও, সে দেশের রাষ্ট্র যন্ত্র কিংবা রাজনৈতিক নেতা নেত্রী অথবা রাষ্ট্রব্যবস্থার দ্বারা সরকারের দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে কঠিন ভাবে লালন এবং বাধ্যতামূলক পালন করা হয়। 

একেবারে সাধারণত আইন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে মানুষকে চলতে শিক্ষা দিয়েও তা বাধ্য করানো হয়।

সেই জন্য আলোচক বা সমালোচক বক্তার বক্তব্যে উদাহরণ স্বরূপ সেই সকল দেশের বা জনগণের নাম আত্মমানবতার সেবার উদাহরণ স্বরূপ বারবার উচ্চারণ করেন।

আবার—

মধ্যপ্রাচ্যের ধনাঢ্য দেশগুলোতে ক্ষতিপয় কিছু উদাহরণ ব্যতীত জীবনের স্থিতিশীলতা বা পরিবার নিয়ে স্থায়ী বসবাস এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই বা তুলনামূলক খুবই কম। তার ও বা কারণ কি খুঁজ খবর নিলে দেখবেন, সম-অধিকারে তারা এখনো হাজার গুণ পিছিয়ে আছে। 

--------এবার যদি আমরা লক্ষ্য করি, বসবাসের অযোগ্য শহর বা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অযোগ্য রাষ্ট্রগুলো-

শুরুতেই আসে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে রাজধানী ঢাকা, দিল্লি ধোঁয়ার নগরী, মানুষ বসবাসযোগ্যতার দিক দিয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন ১৩৮তম। ঢাকার চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর সিরিয়ার দামেস্ক ও নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোস সহ আরও অনেক।

আমরা আমাদের দেশের দিকে তাকালে সবার আগে যাদের দোষ চোখে পড়ে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো বহুমত বহুপথের রাজনীতি বা একাধিক আদর্শকে লালন করা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস। 

এখানে উল্লেখযোগ্য যে ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ও প্রায় বিশ/পঁচিশ ভাগে বিভক্ত। 

প্রায় সকল রাজনৈতিক দল সকল ইসলামী দল বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিছু ভুলে যাচ্ছে যতো মত ততো পথে কখনো শান্তি সম্ভব নয় —

অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত একট বা দুটি মত নির্বাচিত না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই বাসযোগ্য পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি না। 

আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য—

আমরা খুবই সহজে একটি ধৈর্য্য হারা জাতিতে পরিণত হচ্ছি। যেকোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষণিকের মধ্যে বিশ্বকে দেখানোর শীর্ষে সবার আগে থাকি। এই বিষয়ে

আমরাই বোধহয় এক বা দু' নাম্বারে থাকবো।

-------নিজ নিজ অবস্থান আর নিজ নিজ ব্যাখ্যা আমাদেরকে খুব সহজেই মানুষকে বিভাজন করে থাকি। 

আমরা শুরুতে ভুলে যাই, প্রতিটি আন্দোলন শেষে আমরা যে ফলাফল পাই সেই ফলাফলে অনেকগুলো লাশ অনেকগুলো হতাহতের ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। 

যা থেকে একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্রকে আমরাই অবসবাসের যোগ্য কিংবা ভয়ঙ্কর রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলি ।

আসুন —

মস্তিকের ঢাকনা খুলে বসুন। আলোচনার বিকল্প কিছুই নেই। সুস্থ চিন্তা ধারাই পারে বাংলাদেশকে বদলে দিতে এবং একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে।