বৃহস্পতিবার দুই দলের সমাবেশ,কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ

বাংলাভাষী ডেস্ক :

সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ এক দফা দাবি আদায়ে ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

একই দিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। রাজধানীসহ সারা দেশে সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। এ ছাড়াও পুরোনো মামলার আসামিদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। সমাবেশের নামে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা উসকানিমূলক ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তা হলে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে সমাবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলে সহিংসতারও আবাস পাচ্ছে গোয়েন্দারা। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরপাকড় করতে আগামীকাল বুধবার থেকেই সাঁড়াশি অভিযানে নামবে পুলিশ।হাইওয়ে পুলিশপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সমাবেশ ঘিরে হাইওয়েতে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে হাইওয়ে পুলিশও নিরাপত্তা দেবে। যাতে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে। এ ছাড়াও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে। মহাসড়কে যেন যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে এসব বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিএনপি সমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটনের কাছে দুটি স্থানের জন্য আবেদন করেছে। একটি স্থান হলো নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মীরা আসবেন। সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ খুব কাছাকাছি হলেও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। গোয়েন্দারা মনে করছেন দুটি সমাবেশই শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উসকানিমূলক কর্মকান্ড ঘটনাতে পারে। যদি এমনই হয় তা হলে রাজপথেই এর জবাব দেবে বিএনপি।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে কয়েকটি সমাবেশ করেছে বিএনপি। আমরা তাদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দিয়েছি এবং শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ সমাপ্ত হয়েছে। আশা করছি উভয় দলের এবারের সমাবেশও শান্তিপূর্ণভাবে হবে।