বুয়েটের মাধ্যমে প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি বছর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে সুখবর দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) প্রথম ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বুয়েটের কারিগরি সহায়তা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো। আর এ জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হতো। সেই অর্থের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আপত্তি তোলে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অর্থ সচিবের সঙ্গে দেখা করে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এতে জটিলতা কেটে যায়।
বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলে প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি থাকে না জানিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, বুয়েটের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব।

সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যা, জাতীয় নির্বাচনসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে হয়তো সেপ্টেম্বরে প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। 

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য সহকারি শিক্ষকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি। দ্বিতীয় ধাপে চার লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে তিন লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় আট হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, চূড়ান্ত নিয়োগের আগে যত পদ শূন্য হবে সেই সংখ্যাক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। কারণ একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে দেড় থেকে দুই বছর লেগে যায়। তাই একটি নিয়োগে চূড়ান্ত করার আগ পযন্ত যত শুন্য পদ আছে সে পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি দিতে দুই বছর সময় লেগেছে। 

ক্লাস্টার বা বিভাগ ভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারলে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলেও মনে করছে মন্ত্রণালয়।