ভারতকে ৩১৪ রানে অলআউট করে লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

ভারতের তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম সেশন নিজেদের করে নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে এক উইকেট নেওয়ায় উল্টো চাপে পড়ে গিয়েছিল।‌ আবার শেষ সেশনে ৬ উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ।

ভারত অলআউট হয়েছে ৩১৪ রানে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভার খেলে বিনা উইকেটে করেছে ৭ রান। নাজমুল ৫ ও জাকির ২ রান নিয়ে আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আবার তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৮০ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২২৭ রান।

প্রথম দিন বাংলাদেশে প্রথম দুই সেশনে উইকেট হারিয়েছিল পাঁচটি। শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল আবার মাত্র ১৪ রানে। ভারতের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের চেয়ে মজবুত। প্রথম সেশনে তিনটি, দ্বিতীয় সেশনে একটি। মোট উইকেট হারিয়েছিল চারটি। কিন্তু শেষ সেশনে গিয়ে তারা উইকেট হারায় ছয়টি। তবে বাংলাদেশের মতো তাদের মড়ক লাগেনি। ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যোগ করে ৮৮ রান।

দ্বিতীয় দিনের খেলার প্রথম ও শেষ এই দুই সেশন ছিল বাংলাদেশের। এই দুই সেশনে বাংলাদেশ উইকেট নেয় নয়টি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ভারত এক উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান যোগ করে দিনটিকে নিজেদের করে নিয়েছিল। এসময় রিসাভ পান্হ ও শ্রেয়াস আইয়ার করছিলেন মারমুখি ব্যাটিং। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ অনেকটা ভেঙে পড়ে। কিন্তু তৃতীয় সেশনে গিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা আবার ঘুরে দাঁড়ান। সেঞ্চুরি সম্ভাবনা জাগানো দুই ব্যাটসম্যানকেই তারা সেঞ্চুরি করতে দেননি। রিসাভ ৯৩ ও শ্রেয়াস ৮৭ রান করে আউট হন। সেই সঙ্গে অলআউট হয় ভারতও।

দ্বিতীয় দিন বল হাতে রাজত্ব করেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন ১০ উইকেটের নয়টি। সাকিব ও তাইজুল চারটি করে, একটি নেন মিরাজ। অপরটি ছিল তাসকিনের।

চা বিরতির পর ৮৬ রান নিয়ে রিসাভ নেমেছিলেন সেঞ্চুরি করার সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু নার্ভাস ৯০ এর ঘরে গিয়ে তিনি আটকা পড়ে যান ৯৩ রানে। মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রিসাভ ও শ্রেয়াস যোগ করেন ১৫৯ রান। এরপরই ঝলসে উঠেন সাকিব।

এই টেস্টে সাকিবের শুরুতে বোলিং করার কথাই ছিল না। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার কথা ছিল। পরে ম্যাচ শুরুর আগের দিন সিদ্ধান্ত হয় সাকিব বোলিং করবেন। তার সেই বোলিংয়ের সুফল পায় বাংলাদেশ শেষ সেশনে গিয়ে, যখন তিনি একে একে তুলে নেন ৪ উইকেট।

সাকিব পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সাফল্য পেতে শুরু করেন। আকসার প্যাটেলকে দিয়ে উইকেট পাওয়া শুরু করলেও তার বড় শিকার ছিল শ্রেয়াস আইয়ার। রিসাভের মতো তিনিও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ৮৭ রানে সাকিবের বলে তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারানোর ফলে ভারতের বড় সংগ্রহের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। শ্রেয়াসের ১০৫ বলের ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও ১০টি বাউন্ডারি। শেষের দিকে প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন অশ্বিন। কিন্তু সাকিব তা হতে দেননি। ব্যক্তিগত ১২ রানে তাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এরপর ভারতের অলআউট হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার। সেই কাজটি করেন সাকিব ও তাইজুল শেষ দুই উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়ে। তাইজুল ৭৪ ও শাকিব ৭৯ রানে নেন চারটি করে উইকেট। অপর দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মিরাজ ও তাসকিন।