মৃত আত্মার ভস্ম
- তৃষা চামেলি
মাঝেমধ্যেই ও পথ দিয়ে যাওয়া- আসা
বাড়িটার কাছে আসলে ভেতরে কেমন জানি
অন্যরকম মোচড় দিয়ে ওঠে ভেতরটা
কাউকে ঠিক বোঝানো যায় না
পুরোনো বাড়ি, কিছুটা ভুতুড়ে
কৌতুহলবশত ভয়ে ভয়ে ভেতর বাড়িতে ঢুকি
তাকাই এদিক-ওদিক
মৃদুস্বরে অমৃতা, অমৃতা বলে ডাকতে থাকি
কিছুক্ষণ পর দরজা ঠেলে সামনে এসে দাঁড়ায়
বিকেলের বয়সী এক রমনী
- কে হে ? কাকে চাই বাপু ?
ভয়ে ভয়ে বলি - অমৃতা আছে ?
কর্কশ উত্তর
- নেই আবার , ভিটে মাটি আঁকড়ে ধরে তার যে থাকতেই হবে
- একটু ডেকে দেবেন প্লিজ
- ডেকে দেবো ! কী করে আসবে বলো !
ন, মাসের পোয়াতি যে ! প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে
আমি হতবাক
মনে পড়ে যায়, কতকাল আগের পুরোনো সঙ্গম !
তবে এখন কেন প্রসব বেদনা ?
অমৃতা নামে একটি নদীর নাম রেখেছিলাম একদিন
নদীটা এখন মৃত
পিছন ফিরে হাঁটতে থাকি
ওর প্রসব বেদনা তীব্রতর হয়
শুনতে পাই কাতরানির আওয়াজ
ভাবতে থাকি কবেকার সঙ্গম !
আর কবের-ই বা প্রসব বেদনা !
অমৃতা অনুবাদ করতে থাকে মাতৃত্বহীন প্রসবের অসুখ
মৃত আত্মার ভস্ম সে কী শ্মশান আর দেখেছে কখনো !