মনোনয়নপত্র কিনলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সোমবার বিকেলে তার পক্ষ থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় গঠিত মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে মোট ৫ ও কাউন্সিলর পদে ৩২১ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।

মেয়র পদে মনোনয়ন কেনা পাঁচজন হলেন- মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ইসলামী আন্দোলন), মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান (স্বতন্ত্র) ও সামছুন নুর তালুকদার (স্বতন্ত্র)। আর কাউন্সিলর পদে ৩২১ জনের মধ্যে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা কাউন্সিলর) ৭২ জন এবং ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ কাউন্সিলর) ২৪৯ জন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন।

সিলেট সিটির এ পর্যন্ত হওয়া চারটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০২০ সালের ১৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। গত ১৫ এপ্রিল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। প্রবাস থেকে ফিরে গত ২২ জানুয়ারি থেকেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভেঙে আগাম প্রচার শুরুরও অভিযোগ রয়েছে।

এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও এখন পর্যন্ত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। ২০ মে সমাবেশ করে তিনি এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়তন ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। নগরে ওয়ার্ড আছে ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত (মহিলা কাউন্সিলর)-এর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৭ নং ওয়ার্ডে ১ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৯ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ১০নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ১১নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ১২নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ১৩নং ওয়ার্ডে ১১ জন ও ১৪নং ওয়ার্ডে ৫ জন কিনেছেন মনোনয়ন ফরম।

আর সাধারণ (পুরুষ কাউন্সিলর)-এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৯নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ১০নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ১১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ১২নং ওয়ার্ডে ২ জন ও ১৩নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ১৪নং ওয়ার্ডে ২ জন , ১৫নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ১৬ নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ১৭নং ওয়ার্ডে ১ জন, ১৮নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ১৯ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২০ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২২নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ২৩নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৪নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৬ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৭নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ২৮নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ২৯নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৩০নং ওয়ার্ডে ১৬ জন, ৩১নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৩২নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩৩নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৩৪নং ওয়ার্ডে ১৫ জন, ৩৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৩৬নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৩৭নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৩৮নং ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩৯নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৪০নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৪১নং ওয়ার্ডে ৭ জন এবং ৪২নং ওয়ার্ডে ১০ জন।