“মানবতার ফেরিওয়ালা
শাহারা খান
ঘন বরষা,বানের জল
চারদিকে অথৈ পানি
আহা পেরেশান বানবাসী
যায় বুঝি পরাণখানি।
খাটের উপরে মানুষ,পশু
তবুও মিলছেনা রেহাই
সর্বনাশা পানির স্রোত
কখন কেড়ে নেয় ঠিক নাই।
জান বাঁচাতে আশ্রয়ের খোঁজে
এদিক ওদিক সাঁতরায়
উঁচু ঘর দেখে এক বাড়িতে
জমেছে শ’পাচেক হায়!
নেই পানি,নেই খাবার
পেটের জ্বালায় মরে
অভুক্ত শিশুর ক্ষুধার কষ্ট
কেমনে অশ্রু রাখে ধরে?
সহসা আসলো যুবকের দল
খাবারের বোঝা নিয়ে
অনাহারীর চোখ টলটল
কি যে খুশি খাবার পেয়ে।
ভিজা গতরে ঘাম ঝরে
সময় নেই বসে থাকার
আবার ছুটে আরেক স্হানে
দ্রুত পৌছাতে হবে খাবার।
কেমন আছে নিজ পরিবার
জানে শুধু উপরওয়ালা
মানুষরে মুখে হাসি ফোটায়
ওরা যে মানবতার ফেরিওয়ালা।
দূর্দিনে যারা এসে দাঁড়ায়
অসহায় মানুষের পাশে
এরাই নেতা,এরাই বীর
সবাই তাদের ভালোবাসে।