মানুষই সেরা
মোঃ হাবিবুর রহমান
ছুটির দিনে চৈত্রের বিকেলে আজ বাসার পশ্চিম দিকের বারান্দায় বসে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার সময় হঠাৎ এক ভাবের উদয় হলো।
ভাবছিলাম সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে নিয়ে। রাস্তার পাশ দিয়ে যন্ত্র চালিত গাড়ি চ'লছে, মানুষের পা দ্বারা চালিত রিকসা ও ভ্যান চ'লছে অবিরত। অনতিদূরে মাথা উচু ক'রে দন্ডায়মান অনেকগুলো সেনানিবাসের বহুতল বিশিষ্ট সুরম্য অট্রালিকা সমূহ।
দেবদারু গাছগুলো সুশৃঙ্খলভাবেই তাদের সমগ্র কান্ডগুলো সবুজ লম্বা পাতায় আবৃত হ'য়ে রাজপথের পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে নিশ্চলভাবে সেই কবে থেকে। অনতিদূরে নানান বর্ণের নামনা জানা ফুলেরা ফুটে আছে। সুশোভিত ক'রেছে আশপাশ এলাকারাজি।
এসবের মাঝে বসে থাকায় বার বার তাই মনে পড়ছে অদ্ভূত সেই মানবকুলের কথা।
মাঝে মাঝেই মানব কঙ্কালের ছবিটা চোখের তারায় ভেসে আসছে ও আনমনে ভাবছি যে, 'হে শ্রেষ্ঠ মানবকুলের মানব সন্তান, জীবিত অবস্থায় তোমার এত কিছু আহম্মকী বাহাদুরী, জারিজুরী, দম্ভ এবং কেরামতি কিন্তু যবে দেহাভ্যন্তরের বেলুনটি ফুস হ'য়ে যায় আর তুমি হ'য়ে যাও চিরবেহুশ; তোমার সকল দম্ভ নস্যির মত নিমিষেই উড়ে যায় আর তোমার সকল মানবসত্তা হারিয়ে চিরদিনের জন্য তুমিও হারিয়ে যাও অচেনা এক অচীনপুরে।
ভাবতেই অবাক লাগে, দ্বিপদী হ'য়েও তোমার দেহের ভারসাম্যতা সকল চতুষ্পদ প্রাণীকে টপকিয়ে যাও, তোমার বুদ্ধিটার যেমন তুলনা নেই তেমন তোমার অবিচক্ষণতা, পাষন্ডতা এবং হিংস্রতারও যেন কোন জুড়ি নেই।
এতসব কিছুর পরেও তুমিই কিন্তু প্রাণীকুলের মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ'। তাই এই মানবকুলের একজন গর্বিত মানব কিংবা মানবী হিসেবে সদা গর্ববোধ করাটা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক হবে না।