মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ ( ছোট প্রবন্ধ)
মোঃ হাবিবুর রহমান
শান্তি নামের দূর্লভ এ হরিণটি হারানো মাত্রই মনের আকাশে কিঞ্চিৎ একটু কালো মেঘের ভেলা তৈরী হয় ও মনটার গহীনে অশান্তির এক আবহ সৃষ্টি করে।
যেইমাত্র মনের ঐ আকাশের মেঘ কাটলো অমনি আরও একটা মেঘ এসে ঐ মেঘটির ভেলাটিকে যেন প্রতিস্থাপন ক'রলো। বাস্তবে মেঘের এ ভেলাটি নিয়েই মানুষ তার জিন্দেগীটা পার করে দেয় তার সৃষ্টিকর্তার নাম যপতে যপতে।
যখনই মানুষের মনের আকাশে মেঘটি সৃষ্টি হয় আর মানুষ ঠিক তখনই তার মাথা নোয়াই রাজাধিরাজ মহান স্রষ্টার দরবারে একটু পরিত্রাণের অভিপ্রায়ে।
মানুষ তার মনের আকাশের ঐ কালো মেঘের ভেলাটি হ'তে রেহাই পাবার আশে সৃষ্টিকর্তার দরবারে অহর্নিশ আর্জি পেশ ক'রতেই থাকে আর সৃষ্টিকর্তা তার বান্দার জন্য যেটি ভাল মনে করেন সেটিই তিনি করে ফেলেন।
এভাবে, ঐ মেঘের ভেলার কিয়দাংশ হ'তে কালো মেঘটি কেটে যায়। স্রষ্টা বোধ ক'রি মানব জীবনে সৃষ্ট কালো মেঘের ভেলাটি সার্বক্ষণিক জিয়ায়েই রাখেন যাতে দ্বিপদী মানুষেরা তাঁকে একদম সম্পূর্ণ ভুলে না যায়।
এতকিছুর পরেও মানুষ তাঁর নাফরমানী ক'রতে একটুও পিচপা হয়না। পরম দয়ালু সৃষ্টিকর্তা আদর করে ভালবেসে অতি সযতনে মনুষ্যজাতিকে সৃষ্টি ক'রেছেন বলেই হয়তবা সহসা তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের উপর অকস্মাৎ কোন গুঁৎসা ক'রে কোনপ্রকার গজবই নাজিল করেন না।
চরম বাস্তবতাটি হলো, বান্দা হিসেবে মানুষ সৃষ্টিকর্তার প্রতি ঠিক সেই পরিমাণ কৃতজ্ঞতাবোধ আদৌ জ্ঞাপন করেনা।
আসলে নিজেরা স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা জীব বলে দাবী ক'রলেও আমরা অনেকেই স্রষ্টার প্রতি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ এবং অনুগত নই।