যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের গাড়ি বাড়ির খোঁজে তাকসিম

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি ও গাড়ি ক্রয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগটি অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম।

দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ১৩ বছরে বিদেশি ঋণে করা বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে হুন্ডিসহ বিভিন্ন উপায়ে পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাকসিম এ খানের ১৪টি বাড়ি, গাড়ি ক্রয়সহ মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি অনুসন্ধান করতে মহাপরিচালক তদন্ত-১-এর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসার এমডির যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি ও গাড়ি ক্রয় নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগে আনোয়ার হোসেনে নামে একজন সাবেক কর্মকর্তা দুদকে লিখিত অভিযোগ করেন। কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদকের তথ্যমতে, দুদকের অনুসন্ধান টিম ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প, গুলশান-বারিধারা লেক দূষণ রোধ প্রকল্পসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।

অভিযোগ ওঠার পর ১০ জানুয়ারি ওয়াসা ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তাকসিম এ খান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো বাড়ি নেই। একটি বাড়ি আছে, সেটি তার স্ত্রীর নামে। একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি বলেও দাবি করেন তিনি।

জানা যায়, ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো একই পদে বহাল আছেন।