রক্তিম পলাশ

রক্তিম পলাশ

সঞ্জয় কুমার কর্মকার

মূল্যবোধ গুলোর আর অবস্থান নেই, জীবনটা যেন অকৃতিম বন্ধন, রক্তের বাঁধনেও যেন অসামঞ্জস্যতা। 

আন্তরিকতা, ভালবাসার চমৎকার প্রতিধ্বনিত শব্দগুলো যেন বিলীন হয়ে গেছে, স্বপ্ন বাসনার নিরন্তর সন্ধ্যেগুলো নিয়ত নিস্পন্দেই রয়ে গেছে।

চূর্ণ বিচূর্ণ ইঙ্গিত করে লাবণ্যহীন বিধ্বংসী ঝড়ের বাতাস গুলো রূপোলী সন্ধ্যেটাকে ধ্বংসপ্রাপ্তের সংকেত দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে গেলো।

একটি ও ক্ষীণ রেখার মাঝে আলোর আর সন্ধান নেই; নিস্তব্ধ নিঃসঙ্গ অদৃশ্য আলোর মাঝে অসহ্য উচ্চ সুরে দর্পণের দৃশ্যগুলোকে যেন প্রতিহত করে যায়।

 সহস্র সেই ঢেউয়ের আলোকে অভেদ্য অন্ধকার, নিবিড় স্বর্ণাভে পোড়া মর্ম্ম বেদনার কতোই যে ধ্বনি, কতোই যে মিনতি অবুঝের মতোন বারাংবার বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে যায।

মহিমার রঙ্গণ রশ্মিটার সাথে সারাটা জীবনই আপতিত মনের কোণে কতোই যে অপূর্ণতা,অবিশ্বাস্য কালটা এখন ভীষণ অসহ্য,বোঝা ভারীই দুস্কর।

অসীম ঔজ্জ্বল্য ধারায় বেয়ে মরীচিকার অর্ধ আলোটার মাঝে রক্তিম পলাশের মতোন জীবনটা এখন ভীষণই বিপন্ন।

তৃষ্ণার্ত পথিকের মতোন আশার সঞ্চার নিয়ে এখন শুধু ভালোবাসাটা কে উঁচু স্তম্ভের মতোন চারিটা প্রান্তরে বিলিয়ে দিয়ে গেলাম।

হৃৎপিণ্ডের স্নায়ুর পেশিকে নাড়া দিয়ে এলোমেলো নির্জন বাতাসের টহল,সঙ্কটে আকাশ ভেঙ্গে কতো বারই যে বৃষ্টি ঝড়ে....

জীবনের সপ্তসুরে সেই নীরব বেলার জলছবিতে অঙ্কুশ ভাঙা ছায়া শূন্য নৌকোর মতোন স্তব্ধ হয়ে থাকি।

সেই দুরন্ত রঙের বাহারে মনের কোণেতে জমে থাকা শিহরণে জাগায় অস্থৈর্য স্বর্ণালী সেই সন্ধ্যার রঙের ছবিটা।।