রংপুরের কাছে সিলেটের আবারও হার

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া হলো না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৭০ রান করেও বিনা লড়াইয়ে হার মেনেছে ৮ উইকেটে। রংপুর ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেটের রান টপকে করে ১৭৬ রান। এর আগে নিজেদের মাঠেও আগে ব্যাট করেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট হার মেনেছিল ৬ উইকেটে। এবারের আসর একমাত্র রংপুরের কাছেই সিলেট দুইবার হার মানল।

সিলেটের এই পরাজয়ে শীর্ষে ওঠার লড়াই দারুণভাবে জমে উঠেছে। প্লে-অফের চার দলের সামনেই এখন শীর্ষে উঠার সমান সুযোগ। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও তাদের পেছনে পেছনে ছুটছে অপর তিন দল। ১০ ম্যাচে ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স তিন দলের পয়েন্ট সমান ১৪ করে।

সিলেটের শেষ ম্যাচ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। রংপুর তাদের দুটি ম্যাচ খেলবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। কুমিল্লার অপর ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। খুলনার বিপক্ষে বরিশাল খেলবে তাদের অপর ম্যাচ।

১৭০ রান ফাইটিং স্কোর। কিন্তু এই রান করেও সিলেট কোনো লড়াই করতে পারেনি। এই লড়াই করতে না পারার কারণ দলের তিনজন সেরা বোলারের অনুপস্থিতি। এই তিনজনই এবারের বিপিএলে সিলেটের হয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারি। মোহাম্মদ আমির ১৩টি মাশরাফি ১২টি ও ইমাদ ওয়াসিম ১০টি। মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম পিসিএল খেলার কারণে পাকিস্তান চলে গেছেন। মাশরাফি ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত। এই তিনজনের অনুপস্থিতিতে খেলতে নামা মোহাম্মদ ইরফান, নাবিল সামাদ চাহিদা পূরণ করতে পারেননি। সেরা একাদশে তৃতীয় পরিবর্তন ছিল টম মরিস। তিনি মূলত ব্যাটসম্যান।

তিন বোলারের পরিবর্তে দুইজন বোলার নিলেও সিলেটের বোলারের ঘাটতি ছিল না। ছয়জন বোলার হাত ঘুরান। কিন্তু কেউই রান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সবাইকে মেরে তুলোধুনো করে ছাড়েন রংপুরের দুই ওপনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। তাদের উন্মাতাল ব্যাটিংয়ে মিরপুরের সবুজ গালিচায় চার-ছয়ের বৃষ্টি পড়তে থাকে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতেই রান আসে বিনা উইকেটে ৫৯।

বেশি আগ্রাসী ছিলেন রনি তালুকদার। এই ৫৯ রানের ৩৯ রানই ছিল তার। ২৩ বল খেলে বাউন্ডারি মারেন ৭টি। এ সময় অপর ওপনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের রান ছিল ১৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৮। জুটি ভাঙ্গে পাক্কা ১০০ রানে। ৯.৩ ওভারে দলীয় ১০০ রান আসার পর মোহাম্মদ ইরফানের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৬ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। থিসারা পেরেরাকে পরপর দুই বলে চার-ছক্কা মেরে রনি তালুকদার বিপিএলে তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হয়েছিলেন ৬৭ রানে।

রনি তালুকদার আউট হওয়ার সময় নাঈমের রান ছিল ২৪ বলে ৩ চারে ৩১ রান। তাকে আর হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি রেজাউর রহমান রাজা ৩২ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করে বোল্ড হন নাঈম। নাঈম আউট হওয়ার সময় রংপুরের রান ছিল ২ উইকেটে ১২.২ ওভারে ১২৪। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৬ বলে ৪৭ রানের।

রনি তালুকদার ও মো. নাঈম শেখ যে ধারায় খেলে গিয়েছিলেন, নতুন দুই ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও একই ধারায় ব্যাটিং করলে রংপুর। দুইজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫.৪ ওভারে ৫২ রান যোগ করে দলকে বিজয়ী করে মাঠ ছাড়েন। জয়সূচক রান আসে শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে থিসারা পেরেরার ওভারে ছক্কায়। শোয়েব মালিক ২৪ বলে ৫ চারে ৪১ ও নুরুল হাসান সোহান ১৭ বলে ১ চারে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। রেজাউর ৩৫ ও মোহাম্মদ ইরফান ৩৮ রানে নেন ১টি করে উইকেট।