‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে’

‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে’

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

প্রতিবেদক:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কেবল বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বেড়েছে। অন্য কোনও অভ্যন্তরীণ কারণে এই দাম বাড়েনি। বেড়েছে একমাত্র যুদ্ধের প্রভাবে। যদিও জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধী দলের লোকজন মিথ্যাচার করছেন।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ইচ্ছে করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়নি। অনেক বেশি দামে তেল কেনা হয়েছে। তাছাড়া সামনের দিনগুলোতে যাতে দেশে তেলের সংকট না হয়, ঠিকঠাক মতো যেন সবাই তেল পায়- সেজন্যই দাম বাড়ানো হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দিচ্ছে। অচিরেই এই লোডশেডিংয়ের সমস্যা কেটে যাবে। আর তেলের দামও সবসময় একরকম বাড়তি থাকবে না। বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে খাদ্যের কোনও অভাব নেই। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম ঠিকঠাক মতোই চলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি সরকারের ভালোবাসা থাকলেই কেবল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। একসময় দেশের গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট ঠিক ছিল না। বিদ্যুতের আলো ছিল না। চিকিৎসার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এখন মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল রয়েছে। চিকিৎসাখাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ ওষুধের কোনও সংকট নেই।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএইচও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।