রায়হান হত্যার বিচার শুরু

রায়হান হত্যার বিচার শুরু

বাংলাভাষী ডেস্কঃ

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়ির হেফাজতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিকে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এমতাবস্থায়, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই বর্তমানে কারাগারে।আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জারি করা ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।হত্যাকাণ্ডের পর চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।অন্য অভিযুক্তরা হলেন এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল মো. হারুণ অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হাসান উদ্দিন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান। তাদের মধ্যে নোমান পলাতক। বাকিরা কারাগারে আছেন।