সাংবাদিক ফয়ছল আলমের ৬ টি বই

 

স্মৃতিপটে গিয়াসুদ্দিন : প্রশাসনিক এক প্রতিকৃতের জীবনকাহিনী

 

প্রশাসনের ক্রান্তিকালের প্রতিকৃত খ্যাত প্রাক্তন আমলা গিয়াসুদ্দিন আহমদ। ঢাকায় বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। ছিলেন পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। ১৯৭১ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান সিলেটের এই কৃতিসন্তান। যার চার পুত্রই সফল কুটনীতিক। এরা হচ্ছেন ফারুক আহমদ চৌধুরী, ইনাম আহমদ চৌধুরী, ইফতেখার আহমদ চৌধুরী ও মাসুম আহমদ চৌধুরী। একমাত্র কন্যা নীনা আহমেদ সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদের সহধর্মিনী। এই কীর্তিপূরুষের জীবনী নিয়েই ‘স্মৃতিপটে গিয়াসুদ্দিন’ গ্রন্থটি। গ্রন্থটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সাংবাদিক এবিএম মুসাসহ অনেকের স্মৃতিচারণমুলক লেখা প্রকাশ পেয়েছে। এতে উঠে এসেছে একজন চৌকষ মানবিক সরকারী কর্মকর্তার সাফল্যগাঁথা। তাঁর জীবনের নানা দিক। প্রখ্যাত চিত্র শিল্লী এম এ রউফের আঁকা ছবিতে প্রচ্ছদ তৈরী করা হয়েছে।
বইটিতে সংকলকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম। মুলতঃ তাঁর একান্ত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাতেই বইটি বের হয়। ৩১৬ পৃষ্টার বইটি বের হয় ২০১১ সালে। প্রকাশ করেছে ঢাকার খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা সূচিপত্র। যার আইএসবিএন নম্বর- ৯৭৮৯৮৪৮৫৫৭১০৫। মুল্য রাখা হয়েছে ৩৯৫ টাকা। দেশে বিদেশে ও বিভিন্ন লাইব্রেরীতে বইটি পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাজন, রকমারীসহ বিভিন্ন লাইব্রেরী এবং অনলাইন শপে কমিশনে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

 

বিলেতের প্রতিবেদন: কলমে তুলে আনা লন্ডনের বাংলাদেশীদের জীবন

 

একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের ২৭ দিনের ইংল্যান্ড সফরকালে নিজ চোখে দেখা বাংলাদেশী কমিউনিটির জীবন যাপন সাফল্য ব্যর্থতার নানা গল্পের এক অপূর্ব সমন্বয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ হচ্ছে ‘বিলেতের প্রতিবেদন’। বইটি প্রকাশ পেয়েছে ২০১৪ সালে। । ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশে একযোগে প্রকাশিত গ্রন্থটি লিখেছেন সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম। ১৫ নিবন্ধে লেখা বইটিতে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের মাটিতে বাংলাদেশীদের উত্থান, সাফল্য, জীবনযাত্রার নানা চিত্র।
যারা লন্ডন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিংবা সেখানে বাঙালীদের জীবনযাত্রার নানা দিক জানতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। যেসব ভিজিটর লন্ডনে যাবেন তারা আগেভাগেই এ বইটি থেকে সেখানকার অনেক কিছুই জানতে পারবেন-যা গুগল ঘেটেও পাওয়া যেতে নাও পারে।। এমন রোমাঞ্চকর তথ্যও আছে বইটিতে। ৮০ পৃষ্টার বইটিতে লেখা ছাড়াও বেশ কিছু ছবি সন্নিবেশিত আছে। বইটি প্রকাশ করেছে পান্ডুলিপি প্রকাশন। যার আইএসবিএন নম্বর- ৯৭৮-৯৮৪-৮৯২২-৬৭-৫। বইটির প্রচ্ছদ এঁেকছেন আব্দুল মুমিন। মুল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। সিলেটের প্রচার ও প্রকাশনা সংস্থা মিডিয়াগাইড , বইমেলাসহ বিভিন্ন লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় গ্রন্থটি। বইটির গ্রন্থস্বত্ব রয়েছে হেপী বেগমের নামে।

বাউল বয়ান:এক গীতিকবির সরল কাব্যকথা

সুনামগঞ্জের ছাতকে জন্ম নেয়া একজন গীতিকবি মো. গিয়াসুদ্দিন তালুকদার। তারই লেখা বিভিন্ন গানের সংকলন হচ্ছে ’ বাউল বয়ান গ্রন্থটি। ২০১৭ সালে বইটি প্রকাশ করেছে প্রিন্টিং পয়েন্ট। বইটির পৃষ্টা সংখ্যা ৭২। এতে লেখকের প্রায় ৬৪টি গান স্থান পেয়েছে। যা সিলেটের বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে এখন ভাইরাল। অনলাইনেও গানগুলো শুনতে পাওয়া যায়। বইটির প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করেছেন সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম। বইটিতে প্রকাশিত গানের কথাগুলোতে সিলেট অঞ্চলের মরমী সাধকদের মতোই নানা কথামালায় গিয়াস উদ্দিন দেখেছেন তাঁর শ্রষ্টাকে। দেখেছেন সৃষ্টিকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মহানসত্ত¡ার প্রতি।
বাউল বয়ান বইটি প্রকাশ করেছে পান্ডুলিপি প্রকাশন। বর্ণ বিন্যাস করেছে প্রিন্টিং পয়েন্ট । যার যার আইএসবিএন নম্বর- ৯৮৭-৯৮৪-৮৯২২-৭৯-৮। প্রচ্ছদ এঁেকছেন বায়েজিদ মাহমুদ ফয়সল। বিশেষ করে মিডিয়াগাইডের লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে বইটি। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বইটির মুল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। যার গ্রন্থস্বত্ব রয়েছে মহিমা বেগমের নামে। লন্ডন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়।

 

যুদ্ধদিনের আত্মস্মৃতি:যুদ্ধাহত এক বীরের জবানী

 

১৯৭১ এর মুক্তি রণাঙ্গনে যেসব বীরসেনারা লড়েছেন দীপ্ত শপথে তাদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বীর প্রতীক। খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়নের নগর গ্রামে। যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন তিনি ছিলেন ইপিআর-এ। অর্থাৎ বর্তমানে যেটি বিজিবি বা বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ নামে পরিচিত। এই মুক্তিযোদ্ধা তখন পিলখানা সদরদপ্তরে ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান বেরিয়ে ছিলেন ৯ মাসের মুক্তিসংগ্রামে। মুজিবনগরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানী মিলিটারীদের হাতে। এরপর কিভাবে বাঁচলেন, ফিরলেন মায়ের কোলে সেসব নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। যার অনুলিখন ও সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম।
৪৮ পৃষ্টার বইটিতে লেখকের বক্তব্যে নানা লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। লড়তে লড়তে বেঁচে যাওয়ার এক রোমাঞ্চকর-ভীতিকর গল্পের কথা তোলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি প্রকাশ করেছে পান্ডুলিপি প্রকাশন। যার আইএসবিএন-৯৭৮-৯৮৪-৯৫২৯৪-৬-০। প্রচ্ছদ এঁেকছেন আব্দুল মুমিন। মুল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। মিডিয়াগাইডসহ গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরীতে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

 

মুক্তিসংগ্রামী এক বীরের গল্প: যোগাবে দেশপ্রেমের প্রেরণা

 

অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। অগ্নিঝরা দিনগুলোতে প্রতিটি মুক্তিকামী পরিবারকেও সইতে হয়েছে অজ¯্র দূঃখ বেদনা। যেসব স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি কেউ। এরকম এক আত্মত্যাগী পরিবার রয়েছে সিলেটের মৌলভীবাজারে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেখানকার গড়–য়া গ্রামের সন্তান আব্দুন নূরও ছিলেন এক মুক্তিসংগ্রামী। যুদ্ধ জয়ের গল্পের পেছনে রয়েছে তার অনেক ত্যাগের গল্প। হারিয়েছেন অনেক স্বজনকেও। নানা বেদনাবিদূর স্মৃতি নিয়ে আজও দেশপ্রেমের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত তাঁর গোটা পরিবার। সে সব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন গ্রন্থটির লেখক সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম।
৪০ পৃষ্টার বইটি প্রকাশ করেছে ঘাস প্রকাশন। যার আইএসবিএন-৯৭৮-৯৮৪-৯৫৩৩২-০-৯। প্রকাশনা ও মুদ্রণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালন করেছে ছাঁপাকানন। গ্রন্থস্বত্ব অনলাইন পোর্টাল বাংলাভাষী’র। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন বেলাল আহমেদ। যার মুল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। বাংলাদেশ ও লন্ডনের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে বইটি।

 

সুন্দিশাইল গণহত্যা ‘৭১: ২৩ শহীদ পরিবারের দুঃখগাঁথা

 

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্বও নির্যাতন আর লোমহর্ষক বহু ঘটনার জন্ম দিয়ে গেছে পাকিস্তানী মিলিটারীরা। নিরস্ত্র বাঙালীর উপর আক্রমনেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, বিভিন্ন স্থানে মেতে উঠে গণহত্যায়। এরকম একটি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিলো একাতরের ২৫ অক্টোবর গোলাপগঞ্জের সুন্দিশাইল গ্রামে। ২৩ জন মুক্তিকামী মানুষকে সেখানে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানী মিলিটারীরা। যার ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে শহীদ পরিবারগুলো। প্রায় সবার ঘরেই আছে বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখা স্বীকৃতির পত্র। কিন্ত এখনও মিলেনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।মিলেনি শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি। এরকম অসংখ্য দুঃখ বেদনা নিয়ে দিন পার করছে শহীদ পরিবারগুলো। বইটিতে সেদিনের ঘটনা এবং শহীদ পরিবারগুলোর সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরেছেন লেখক সাংবাদিক মো. ফয়ছল আলম।
শতাধিক বছরের সাংবাদিকতার স্মারক প্রতিষ্ঠান সিলেট প্রেসক্লাব প্রকাশ করেছে বইটি। গ্রন্থস্বত্বও তাদের। যাতে সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে আনোয়ার শাহজাহান ফাউন্ডেশন। ২০২১ সালে বইটির প্রথম প্রকাশ। ৪০ পৃষ্টার বইটিতে মোট ১২ টি কলামে প্রকাশিত প্রতিটি লেখাই হৃদয়গ্রাহী ও মর্মস্পর্শী। বইটিতে স্থান পেয়েছে মুল্যবান কিছু ছবিও। মুল্য রাখা রয়েছে ২০০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁেকছেন ইয়াহইয়া ফজল। এটি মুদ্রণের দায়িত্ব পালন করেছে ছাঁপাকানন। পাওয়া যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরীতে।