সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যর সাংস্কৃতিক ও সম্মাননা অনুষ্ঠান

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যর সাংস্কৃতিক ও সম্মাননা অনুষ্ঠান

বাংলাভাষী  মিডিয়া

যুক্তরাজ্য সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে গতকাল রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো সাহিত্য ও সংগীতানুষ্ঠান এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে নাট্যকলায় কমনওয়েলথ স্কলারশিপে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় সুদীপ চক্রবর্তীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আহবাব হোসেন, নিউহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর আয়েশা খানম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুদীপ চক্রবর্তী।

সংগঠনের সভাপতি ময়নূর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহর পরিচালনায় শুরুতেই সভাপতি তাঁর স্বাগত বক্তব্য শেষে আগামী দুই বছরের জন্য নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। সভায় বিশেষ অতিথি স্পিকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলর আয়েশা খানম সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসে বাংলা বইমেলাসহ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার ও লালন করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংগঠন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

ড. সুদীপ চক্রবর্তীকে সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়।


সুদীপ চক্রবর্তী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত। আমি মাত্রই  পিএইচডি শেষ করলাম। এর মাঝেই আমাকে যেভাবে আপনারা সম্মানিত করলেন, যুক্তরাজ্যের বাঙালিদের কাছে আমার ঋণের বোঝা ভারী হয়ে রইল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় আপনারা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, শিল্পে সাহিত্যেও একইভাবে ভূমিকা রাখছেন। মাসব্যাপী বাংলা নাট্যোৎসবের সঙ্গে আমি বিগত অনেক বছর ধরেই জড়িত আছি। বাংলাদেশ থেকে শিল্পী, সাহিত্যিকরা যুক্তরাজ্যে আসেন, কিন্তু যুক্তরাজ্যের কাউকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এখন সময় এসেছে সেই সেতুবন্ধনের। যুক্তরাজ্যের চতুর্থ প্রজন্মকে, বিশেষ করে আপনাদের এই চর্চার আওতায় নিয়ে আসা জরুরি৷ অন্যথায় আপনাদের এই শ্রম, প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, আমার সাধ্যের মধ্যে যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে থাকব।


অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন সালাহ উদ্দীন শাহীন, বর্ণালী চক্রবর্তী ও শতরুপা চৌধুরী৷ যুক্তরাজ্যের দূর-দূরান্তের বিভিন্ন শহর থেকে এসে যোগ দিয়েছিলেন বাংলা ভাষাভাষী কবি-সাহিত্যিকরা।

কবি নুরজাহান শিল্পী,  শাহারা খান সহ অন্যান্যদের স্বরচিত কবিতা পাঠ আকর্ষণীয় করে তোলে অনুষ্ঠানটিকে। শেষ পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করেন মোস্তফা মিলন ও ইভা রহমান।


সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর শাহ সোহেল আমীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ ছোটন, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বুলবুল।