স্রষ্টার সৃষ্টির রূপরস
মোঃ হাবিবুর রহমান
যে কোন জিনিসের অবস্থার পরিবর্তনের পর তা একটা নুতন সৌন্দর্য্যে রুপান্তরিত হয়। যেমন ধরুনঃ -মানুষের দেহের দৈহিক পরিবর্তনের আলাদা আলাদা সৌন্দর্য্য বা রূপ ধরা পড়ে যখন মানুষ তার জীবনের বিভিন্ন স্তর বা ধাপ একটার পর একটা পরিবর্তন করতে থাকে। তদ্রুপ মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হবার পর প্রত্যেক শিশু একটা আলাদা ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য্য পেয়ে থাকে যার সম্পূর্ণটাই নিষ্পাপ বদনের হ'য়ে থাকে। এরপর কয়েক বছর পর যখন সে কৈশরে উপনীত হয় তখনকার সৌন্দর্য্য কিন্তু অভাবনীয় সুন্দর!
আর যৌবনের সৌন্দর্য্যের কথা তো বলার অপেক্ষায়ই রাখেনা। শুধু কিন্তু মানুষই নয় জগতের সকল প্রাণী বা বৃক্ষকুলও এই যৌবনে সবচেয়ে সুন্দর রূপ ধারণ করে। এরপরেই পৌঢ় আর পৌঢ়েরও নিজস্ব এক নজরকাঁড়া সৌন্দর্য্য আছে। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ কেন সব প্রাণীকুলের প্রাণীরই আকার, আকৃতি ও চেহারার আমূল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হ'লেও এই বয়সেরও কিন্তু একটা সৌন্দর্য্য আছে।
এদিকে প্রকৃতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় মেঘের পর রোদ কিংবা আবার বৃষ্টি সব কিছুরই আলাদা এবং ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য্য আছে। আবার বিভিন্ন ঋতু পরিবর্তন হবার পরই নতুন ঋতু নিয়ে আসে মন কাড়া প্রাণস্পর্শী এক চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। শীত পেরিয়েই আসে ঋতুরাজ বসন্ত আর তখন মহাসমারোহে প্রকৃতি সাজে যেন নতুন এক সাজে। এভাবে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত ও শীতের যেন আলাদা আলাদা সৌন্দর্য্য চোখে পড়ে ও তা মনে দোলা দিয়ে মানুষের মনকে আন্দোলিত করে।
বর্ণনা ক'রে শেষ করা যাবে না। একটার পর একটা বস্তুকে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা যাবে কিন্তু তা বর্ণনা ক'রে শেষে কুল-কিনারা পাওয়া যাবেনা। চারিদিকে সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্যের এত শত শত নিদর্শনাবলী রেখেছেন, সেগুলো শুধু খাস দিলে দুটি সুনয়ন মেলে সুন্দর চিত্তে আমরা দেখতে পারলেই কিন্তু আল্লাহতা'আলাকে উপলব্ধিসহ তাঁর সৃষ্টির সব সৃষ্টি বা মখলুকাতের সৌন্দর্য্যকেই উপলব্ধি করা সম্ভবপর হবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ক'রি নতুবা কখনই সম্ভব নয়।