সিলেটে মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা

বাংলাভাষী ডেস্ক :

আগামী বুধবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভোট। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৯ জুন) মধ্যরাত থেকে নির্বাচনের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে। সাধারণত আজ শেষ দিন হিসেবে জমজমাট থাকার কথা ছিলো। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাগড়া পড়েছে শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণায়। 

সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এছাড়া দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এর মধ্যে জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণায় সরব নয়। অন্যদের প্রচারণা নেই বললেই চলে। ভোটের মাঠে এখন বেশ সরব আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুল। এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই হবে লড়াই। 

অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

প্রচার প্রচারণার শেষ দিন হিসেবে আজ (সোমবার) সাধারণত প্রচারণায় মুখর থাকার কথা সিলেট নগরী। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো। সকাল থেকে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ প্রার্থী বা ভোটারদের মধ্যে নেই উৎসবের আমেজ।


মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গত কয়দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবুও আমাদের প্রচারণা থেমে নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিলেট অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

জাতীয় পার্টি প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিজয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। সাধারণ মানুষ নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর খুবই বিরক্ত। তারা বিকল্প চায়। আর বিকল্প হিসেবে লাঙ্গলই তাদের পছন্দ। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদের বলেন, নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামীকাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মাঠে নামবে আজ রাত থেকে। মধ্য রাত থেকে সকল প্রচার প্রচারণাও বন্ধ হয়ে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন

তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন বুধবার ইভিএম সিস্টেমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগে ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৬ জন।