সংসদে কোনো বিল বা সংশোধনী এনেও  "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" আর কোনোদিন বাতিল করা যাবে না। 

সংসদে কোনো বিল বা সংশোধনী এনেও  "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" আর কোনোদিন বাতিল করা যাবে না। 

মাওলানা উবাইদুর রহমান খান

শেখ হাসিনা ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করান। এতে কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসবে নির্ধারণ করা হয়ে। এই মৌলিক কাঠামো কারো পক্ষেই সংশোধন করা সম্ভব নয়। 

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের ৭খ অনুচ্ছেদে বলা আছে, 

''সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমুহের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।''

বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হচ্ছে, সংবিধানের প্রথম ভাগের অংশ (২ক)। আর সংবিধানের প্রথম ভাগ হলো সংশোধন অযোগ্য।

কোনো দল বা গোষ্ঠী, আদালত, এমনকি জাতীয় সংসদ চাইলেও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংশোধন করতে পারবে না। কেউ যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। আর সংবিধান মতে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

কেউ সামগ্রিক বিপ্লব, রাষ্ট্রদ্রোহ কিংবা সামরিক আইন দিয়ে সংবিধান অকার্যকর করলেই এটি স্থগিত বা বাতিল হতে পারে, এজন্য অবশ্য তার সাজা নির্ধারিত রয়েছে মৃত্যুদন্ড। 

যারা জোরগলায় রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেওয়ার দিন তারিখ ঘোষণা করছেন, তাদের উচিৎ হবে সংবিধান ভালো করে পড়ে নেওয়া অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ব্যাপারটি বুঝে নেওয়া। কারণ, ১৫তম সংশোধনীটি একটি কমিটি দিয়ে তিনি নিজে করিয়েছেন।

কোনো এমপি মন্ত্রী রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথ ভংগের দায়ে তিনি তার পদ ও আসন হারাবেন, এটিই সাংবিধানিক আইন।