২৮ বছর পর আবারও আলোচনায় ভিপি শফিক-টিটু

২৮ বছর পর আবারও আলোচনায় ভিপি শফিক-টিটু

বিশেষ সংবাদদাতা:

প্রায় ২৮ বছর পর আবারও গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজাারে তুমুল আলোচনায় সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা। এরা হলেন ভিপি শফিক উদ্দিন ও আব্দুল কুদ্দুস টিটু। যেনো নতুন করে দুই উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছেন তারা। আর শফিক- টিটু ক্রেজে যেন আবারও উদ্দীপ্ত নেতাকর্মীরা। গা ঝাড়া দিয়ে উঠছেন তাদের পুরাতন সহযোদ্ধারা।

তখন ১৯৯৪ সাল। সিলেটের আওয়ামী পরিবারের জন্য চরম দুর্দিন। সবখানে জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবিরসহ বিরোধী শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছিলো ছাত্রলীগ। সবকটি কলেজে ছিলো একই  অবস্থা। বিশেষ করে সিলেটের বিয়ানীবাজার গোলাপগঞ্জে তীব্র বিরোধীতার মুখে ছিলো মুজিববাদী ছাত্রলীগ। তখন যেন দুই উপজেলার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য আশার প্রদীপ হয়ে উঠলেন তেজস্বী দুই ছাত্রনেতা। এরা হলেন ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজের শফিক উদ্দিন আর বিয়ানীবাজার কলেজের আব্দুল কুদ্দুছ টিটু। অসীম সাহস নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের জন্য যেন ভ্যানগার্ড হয়ে উঠলেন। সব বাঁধা অতিক্রম করে দুই কলেজে অবস্থান নিলেন তারা। গড়ে তুলেন শত শত নেতাকর্মী। জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় তাদের। ঢাকাদক্ষিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস এবং পরবর্তীতে ভিপিও হন শফিক উদ্দিন। সেই থেকে আর কখনও দুই উপজেলায় আওয়ামীলীগ পরিবারকে পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। হতে হয়নি বড় ধরণের কোনো বাধার সম্মুখীন । বলা চলে আজকের বিশাল অবস্থানের পেছনে তাদের দুজনের অবদানও কোনো অংশে কম নয়।

যে মুহুর্তে এই আলোচনা চলছে যেন মুহুর্তে এখন ভোটের মাঠে তারা দুজন ভীষণ ব্যস্ত। ভিপি সফিক উদ্দিন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আর আব্দুল কুদ্দুছ টিটু বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। তবে তারা দল থেকে মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্রই প্রার্থী হয়েছেন।  ভিপি শফিক বর্তমানে আমেরিকার নিউজার্সি আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আর আব্দুল কুদ্দুছ টিটু বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। টিটু দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, পাননি। ভিপি সফিক দলের কাছে মনোনয়ন চাননি। তার পক্ষে অনেক যুক্তি। তবে দুই সাবেক ছাত্রনেতাই দেশের বাইরে থাকলেও এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেননি। সব সময়েই দল ও সাধারণ মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। বন্যা, শীত কিংবা করোনাকালীন দুঃসময়ে নিজেরা উপস্থিত থেকে সাহায্য করেছেন অসহায় মানুষদের।

ফলে তারা দুজন প্রার্থীরা ঘোষণার পর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। যেন আবারও আওয়ামীলীগের পুরাতন নেতাকর্মীরা আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। কেউ প্রকাশ্যে কাজ করছেন, আর কেউ আড়াল থেকে সমর্থন দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই দুই ক্রেজি নেতা এখন দল এবং দলের বাইরে বেশ আলোচনায়। কেউ কেউ বলছেন ভোটের মাঠে চমকও দেখাতে পারেন তারা। পাল্টে দিতে পারেন রাজনীতির সব হিসেব নিকেশ। কি ঘটে ভোটের মাঠে তা দেখার জন্য সবাই কে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৫ জুন ভোটের ফলাফল পর্যন্ত।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আখতার হোসেন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন ,তাদের অতীতের ত্যাগ বৃথা যাবেনা।

সিলেটে গত ফেব্রুয়ারীতে বাংলাভাষী’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি সফিক ও টিটু ।