ত্রয়োদশ বাংলাদেশ বইমেলা উপলক্ষে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ত্রয়োদশ বাংলাদেশ বইমেলা উপলক্ষে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নূরজাহান শিল্পী 

আসন্ন বইমেলা ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ উপলক্ষে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব লন্ডনের দর্পণ মিডিয়া সেন্টারে ৪ই আগস্ট সোমবার বিকেল সাড়ে ছয় ঘটিকায় 

 সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল এর সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর দুর্জয় এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয় 

সভায় উপস্থিত ছিলেন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌস সুলতান, কবি হামিদ মোহাম্মদ, কবি মিলটন রহমান, কবি ইকবাল বুলবুল

কবি আতাউর রহমান মিলাদ, গবেষক ফারুক আহমেদ, কবি আবুল কালাম আজাদ ছোটন, লেখক ও সাংবাদিক রহমত আলী, হেনা বেগম, কবি আসমা মতিন, কবি ইমদাদুন খান, কবি মাহফুজা রহমান, কবি শামসুল হক শাহআলম

কথাসাহিত্যিক কামাল কাদের, কবি মোসাইদ খান,সাংবাদিক অলিউর রহমান খান ,কবি অশ্রু বৈরাগী, কবি নূরজাহান শিল্পী,

আবৃত্তিশিল্পী মুনিরা পারভীন, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজনূর, কবি মুহাম্মদ মুহিদ, নৃত্যশিল্পী দ্বীপ, কবি শামসুদ্দিন রুমি, কবি মির মাহবুবুল আলম, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শাহিন রহমান, সংবাদ পাঠিকা সেলিনা হায়দার সহ অন্যান্য গুণীজন।

সভায় বইমেলাকে আরও সুশৃঙ্খল, প্রাণবন্ত ও সফল করে তোলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা বই প্রকাশ, স্টল ব্যবস্থাপনা, পাঠক-লেখক সংযোগ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও স্বেচ্ছাসেবক পরিচালনাসহ নানা বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মোঃ ইকবাল বলেন,

বইমেলা শুধুমাত্র একটি সাহিত্য আয়োজন নয়—এটি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ। তাই সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।"

সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর দুর্জয় বলেন,

আমাদের প্রস্তুতির মূল চাবিকাঠি হলো সময়ানুবর্তিতা ও দলগত প্রচেষ্টা। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।"

বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভিন বলেন

"কোনো কাজকে খুঁত ধরা সহজ, কিন্তু তা সুচারুভাবে সম্পন্ন করা কঠিন। যারা পেছনে থেকে পরিশ্রম করেন, তাদের উৎসাহ ও মূল্যায়ন করা আবশ্যক। আবৃত্তির প্রয়োজনে আমি সবধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। কবিদেরও তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠে উৎসাহী হওয়া উচিত।"

কবি আবুল কালাম ছোটন বলেন,

বইমেলার সফলতা নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।"

বাংলাভাষী পোর্টালের সম্পাদক ও সাংবাদিক ওলিউর রহমান খান বলেন,

স্বজনপ্রীতিমুক্ত, সুসংগঠিত একটি বইমেলা উপহার দিতে সবার সচেতন থাকা জরুরি।

 

দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী বলেন,

 "বইমেলা আমাদের প্রাণের উৎসব। আমাদের আরও বেশি বই কিনতে ও পড়তে হবে।"

কবি মসাইদ খান প্রবাসীদের বই স্টল নিয়ে কথা বলেন এবং প্রবাসীদের উৎসাহের কথা তুলে ধরেন।

কবি ফয়েজ নূর বলেন,

 "কবিরা যেন তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠে আরও বেশি সক্রিয় হন, তাতে কবিতার সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠবে।"

কবি আতাউর রহমান মিলাদ বলেন,

"সবার উপস্থিতিতে আমরা এক প্রাণবন্ত বইমেলার প্রত্যাশা করছি।"

মিডিয়াকর্মী ও উপস্থাপিকা হেনা বেগম বলেন,

"বইমেলার দুই দিন সবার উপস্থিতি আবশ্যক।"

বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত ফারুক আহমেদ বলেন , বই মেলাকে সফল করার লক্ষে তৃতীয় বাংলা খ্যাত ইংল্যান্ডের নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে 

এছাড়াও কবি আসমা মতিন ও কবি ইমদাদুন খান দলগত কাজ (Team Work) এর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং কীভাবে বইমেলাকে আরও সুন্দর ও সুচারুভাবে উপস্থাপন করা যায়, সে বিষয়ে মতামত দেন।

আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধা দেওয়ান গৌস , মিডিয়া কর্মী স্মৃতি আজাদ ,নৃত্যশিল্পী মোহাম্মদ দীপ সহ অন্যান্যরা 

মতবিনিময় সভাটি ছিল প্রাণবন্ত, উদ্দীপনাময় ও আশাব্যঞ্জক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিক অংশগ্রহণে আসন্ন বইমেলা সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি সফল ও স্মরণীয় আয়োজন হয়ে উঠবে—এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সকলে।