এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা টোল আদায়

বাংলাভাষী ডেস্ক::

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণ জনগণের জন্য খুলে দেয়ার ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এই সময়ে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি পার হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, "গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৮০৫টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে পার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল এসেছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।"

গত শনিবার যানজটে নাকাল নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর গতকাল রোববার ভোর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই উড়াল সড়কটি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতেও পারবে না। যাত্রী ওঠানামাও করতে পারবে না। অবশ্য ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ কেউ গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলেছেন প্রথম দিন।

উল্লেখ্য, কাওলা থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও মানিকনগর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)। পুরো উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাড়ে ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ১২ মিনিট লাগবে বলে।

এখন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই পথে আসতে যেসব জায়গায় ওঠানামার সুযোগ আছে সেগুলো সব রোববার থেকে চালু হয়েছে।

ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়াল সড়কে উঠতে চান, তাদের যেতে হবে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায়। বিজয় সরণি হয়ে র‍্যাংগস ভবন ভেঙে যে ওভারপাসটি তৈরি হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগে উড়াল সড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য।

রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়াল সড়কে ওঠার এ পথই সহজ। তবে যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়াল সড়কে উঠতে পারবেন।

আর এদিকে উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।