গোলাম কবির এর দুটো কবিতা
" আমি তো বুঝিনা "
তোমার কাছে যাবার কথা ভেবে ভেবে
আমি উৎফুল্ল হয়ে থাকি বারমাস,
তোমাকে পাবার নেশায় আমি
পাঁড় মাতালের মতো ভুলে থাকতে চাই
নিজের অস্তিত্ব, এই সংসারে শুধুই
সং সেজে ঢং করি বেঁচে থাকার জন্য।
তোমার কাছেই যেতে হবে ফিরে একদিন,
তাই নিজেকে গুছিয়ে রাখি একজন সৈনিক
যেমন যুদ্ধে যাবার জন্য সর্বদাই
প্রস্তুত থাকে তেমনি করে।
এক নিঃশ্বাসেরই যেখানে নিশ্চয়তা নেই
বেঁচে থাকার, সেখানে বেঁচে থাকার জন্য
কেনো যে মানুষ করে এতো মিছে আয়োজন,
সাজায় মিথ্যে তাসের ঘর, করে কতো
অত্যাচার, অনাচার, অজাচারে লিপ্ত হয়,
গড়ে সম্পদের পাহাড় অথচ মানুষ তো
কিছুই নিতে পারেনা সাথে
সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
একখণ্ড সাদা কাফন ছাড়া!
তবুও যে কেনো মানুষ এটা আমার,
ওটা আমার করে, আমি তো বুঝিনা!
" তবুও স্বপ্ন দেখতে দোষ কী "
কসাই এর মাংস কাটার মতো ফালা ফালা
করে কেটে ফেলা মানবিক স্বপ্ন গুলোকে
আবার জোড়া দিতে চাই কিন্তু পেরে উঠছি না,
তবুও নিরন্তর চেষ্টা করে যাই গজনীর
সুলতান মাহমুদ এর সোমনাথ দূর্গ জয়ের
ইচ্ছের মতো অবিচল আস্থায়।
শহরের এক চিলতে ফ্লাট বাড়ির জানালার
পর্দা সরিয়ে সূর্য এবং আকাশ দ্যাখার লোভে
যেমন অবোধ শিশু বারবার জানালার
কাছে গিয়ে পর্দা সরায় তেমনি করে
আবার এক মানবিক পৃথিবী দ্যাখার
আশায় চোখ রাখি অনন্তের দিকে
ভীষণ আশায়! ওদিকে তবুও অশান্তি
ও অনিশ্চয়তার পৃথিবী ভেংচি কেটে ভয়
দ্যাখাতে চায়! তারপরও জানি একদিন
ঠিকই শান্তি আসবে, সারা পৃথিবী জুড়ে
বইবে সুবাতাস হয়তোবা শুধু আমিই
দেখে যেতে পারবো না,
তবুও স্বপ্ন দেখতে দোষ কী!