চোখ ধাঁধানো খেলায় প্রথমার্ধে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

আর্জেন্টিনা খেলাতো নয় যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা নিপুন এক ছবি। কিংবা তারা নিজেরা খেলছে না ।মাঠের বাইরে থাকা কোচ লিওনেল স্কালোনির হাতে রিমোট। তিনি যেভাবে চাইছেন সেভাবেই খেলছে আর্জেন্টিনা। যেখানে অসহায় ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা।যেন তাদের করার কিছুই নেই। আর্জেন্টিনা যেখানে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে, গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছে, একাধিক কর্ণার আদায় করে নিয়েছে, সেখানে ফ্রান্সের ভান্ডার ছিল শুন্য । আর্জেন্টিনা একটি পেনাল্টি  ছাড়াও গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শর্ট মেরেছে ছয়টি অন টার্গেট শর্ট ছিল তিনটি, কর্ণার ছিল দুইটি, সেখানে ফ্রান্সের কোন কিছুই ছিল না! প্রথমার্ধের খেলা দেখে মনেই হবে না যে ফাইনালে লড়ছে দুটি সমান প্রতিপক্ষ। এমন খেলা যারা খেলে এগিয়ে যাওয়াতো তাদেরই মানায়। মেসি ও ডি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনা তাই প্রথমার্ধে  ২-০ গোলে এগিয়ে।

সবগুলো দলকে একে একে পিছনে ফেলে ফাইনালে উঠে আসে সেরা দুটি দল। যেখানে কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। ফেভারিট বলে কোন শব্দ থাকে না ।তেমনি ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না জিতবে কোন দল। কিন্তু যে দলে মেসি নামে একজন খুঁদে জাদুকর থাকেন, সেই দলের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব। এই মেসির কারণে একটু হল ফাইনালে আগে আর্জেন্টিনা এগিয়েছিল। মাঠে মেসি তাই করে দেখালেন আরেকবার। একটি গোল করলেন পেনাল্টি থেকে, অপর গোলটির উৎসে ছিলেন শুরুতেই তিনি। কিন্তু ফাইনালে আর্জেন্টিনার বাজির ঘোড়া যেন ছিলেন ডি মারিয়া। পেনাল্টি থেকে মেসি যে গোলটি করেন সেটি সৃষ্টিকর্তা ছিলেন ডি মারিয়া। আর দ্বিতীয় গোলটি তিনি করেন তার নৈপুণ্যের ঝলক দেখিয়ে।

প্রথমার্ধের খেলায় ডি মারিয়াই বলা যায় দুই দলের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। তিনি সেরা একাদশে ফিরেছেন তিন ম্যাচ পর। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ পর ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন নক আউঠ পর্বের তিনটি ম্যাচে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরেছিলেন কয়েক মিনিটের জন্য বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। ডি মারিয়া পরিপূর্ণ সুস্থ হলে তিনি যে ফাইনালে খেলবেন সে কথা আগাম জানান দিয়েছিলেন ম্যাচের আগের দিন কোচ লিওনেল স্কালোনি। জানিয়েছিলেন ডি মারিয়া ফিট ।ফাইনালে খেলবে। তবে শুরু থেকে, না বদলি হিসেবে  সেটা তিনি বলেননি । রেখেছিলেন  ধুয়াশায়। সেই ধোয়াসার জাল ছিন্ন করেন ডি মারিয়া।

২৩  মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসি প্রথম গোল করেন । তবে পেনাল্টির উৎস ছিলেন ডি মারিয়া। গ্রুপ পর্বের পর ফাইনালেই প্রথম সেরা একাদশে ফিরেন ডি মারিয়া। ফিরেই নিজের নৈপুণ্য দেখানো কেন তার উপর আস্থা রাখেন লিওনেল স্কলানি। বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়েন বক্সে ।তাকে আটকাতে ফাউল করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না দেম্বেলের। এই গোল করে এমবাপেকে পেছনে ফেলে মেসি কাতার বিশ্বকাপে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা। এটি তার ষষ্ঠ গোল। যার পাঁচটি ছিল পেনাল্টি থেকে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি এর নিচে গোল করতে পারলে গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতি ম্যাচে গোল করার অন্যান্য এক রেকর্ডের মালিক হতেন মেসি।

৩৫ মিনিটেই ডি মারিয়দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জয়পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। এই গোলের শুরুর উৎস ছিলেন মেসি। তার কাছ থেকে বল পেয়ে আ্যলিস্টার বল নিয়ে বিপদজনকভাবে বক্সে ঢুকে পড়েন। কিন্তু তিনি নিজে শট না নিয়ে বল বাড়িয়ে দিয়েন অরক্ষিত থাকা ডিমারিয়াকে ।ডি মারিয়া গোলরক্ষককে লরেসকে সহজেই ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি