ছুটির নিমন্ত্রণে
আলেয়া আরমিন আলো
মনে পড়ে "সেই চৈত্রমাস"
"আমি ও কয়েকটি প্রজাপতি"
যখন একে অন্যের "ছায়সঙ্গী" ছিলাম,
"অনন্ত অম্বর" তখন কিশোরী মনের "আয়নাঘর"
সবেমাত্র ছুঁই ছুঁই যৌবনের "প্রথম প্রহর"।
তখনই এক "মধ্যাহৃ" দুপুরে
তোমার সাথে হঠাৎই দেখা হয়
হিজলতলীর "জলপদ্ম" পুকুরে,
মন "অরণ্য" ছুঁয়ে দিলো "লিলুয়া বাতাস"
সময়ও যেন থমকে গেলো "কিছুক্ষণ"
দু'জনার চোখে চোখ পড়লো যখন।
"দিনের শেষে" "দুই দুয়ারী" নয়ন নীড়ে
কেবল তোমার সম্মোহনী অবয়বেরই ছায়া পড়ে
"নক্ষত্রের রাত"এ বদলে যায় প্রতিটা "কৃষ্ণপক্ষ",
"নীল অপরাজিতা"র মতো "একা একা"
তোমায় ভেবেই কাটে "রজনী"
"আঁধারের গান" এ ভেসে আসে মিলনের রাগিণী।
যদিও "ভয়" হয়!
তবুও কেবলই ভাঙতে ইচ্ছে করে
সকল বাঁধার "দেয়াল"
তোমাকেই চাই আমি "জনম জনম" ধরে,
"রুমালি" হৃদয়টা আজকাল
আবেগের "রঙপেন্সিল"এ সজ্জিত এক সাজঘর,
"তেতুল বনে জোছনা"য় "ছায়াবীথি"তলে
স্বপ্নের গুটি "পোকা"গুলো বুনে যায় সোনালি বাসর।
অথচ, তুমি এক উড়ালপঙ্খি
ছন্নছাড়া "হলুদ হিমু" হয়ে
আমাকে কেবলই "পেন্সিলে আঁকা পরী"
আর "দেবী"ই ভেবে গেলে,
"অপেক্ষা" নামের হেমলক পিয়ে পিয়ে
"প্রিয়তমেষু" তোমারই শোকে
আমি আজ এক "নীল মানুষ" এ ধরার আঁচলে।
আজ আমার সব স্বপ্ন "নির্বাসিত"
"আশাবরী"মন নিরাশায় ধুম্রজালের "এপিটাফ"
প্রেম তৃষ্ণায় খরস্রোতা আমার মন "ময়ূরাক্ষী",
"নিশীথিনী" হয়ে তবুও "বহুব্রীহি" প্রেম যাচি
তোমারই "অয়োময়" মনে,
ভাবি, আবারও ডাকবে আমায় "ছুটির নিমন্ত্রণে"।