দুবাইকে বিশ্বের প্রথম শতভাগ কাগজবিহীন সরকার ঘোষণা করেছেন .

দুবাইকে বিশ্বের প্রথম শতভাগ কাগজবিহীন সরকার ঘোষণা করেছেন .

বাংলাভাষী ডেস্ক

দুবাইকে বিশ্বের প্রথম শতভাগ কাগজবিহীন সরকার ঘোষণা করেছেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দুবাই সরকারের ১৩০ কোটি (৩৫০ মিলিয়ন ডলার) এবং ১ কোটি ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা বেঁচে যাবে।

দুবাই সরকারের অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক লেনদেনসহ যাবতীয় কাজ এখন শতভাগ ডিজিটাল এবং সমস্ত সরকারি পরিষেবা একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিচালিত হয়। দুবাই পাঁচটি ধাপে পেপারলেস কৌশলটি বাস্তবায়িত করেছিল। পঞ্চম ধাপের শেষ নাগাদ, কৌশলটি আমিরাতের ৪৫টি সরকারি সংস্থার পুরো অংশজুড়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল।

সংস্থাগুলো ১ হাজার ৮০০টিরও বেশি ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এসব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও একত্রীকরণের মাধ্যমে অনেক পরিষেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে ৩৩৬ মিলিয়নেরও বেশি কাগজপত্রের ব্যবহার কমেছে। এ কৌশল অবলম্বন করায় দুবাই সরকারের ১৩০ কোটি দিরহাম ও এক কোটি ৪০ লাখ কর্মঘণ্টা বেঁচে গেছে।

কাগজের ব্যবহার পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে দুবাই

গত শনিবার এক বিবৃতিতে শেখ হামদান বলেন, জীবনের সমস্ত দিককে ডিজিটালাইজ করার ক্ষেত্রে এই লক্ষ্য অর্জনটি দুবাইয়ের যাত্রার একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা করেছে। এর ফলে ডিজিটাল রাজধানী হিসেবে দুবাইয়ের মর্যাদা আরো শক্তিশালী হবে এবং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কষ্ট কমাবে।

সবমিলিয়ে এক্ষেত্রে দুবাই রোল মডেল হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স। তিনি বলেন, সরকার আগামী পাঁচ দশকে দুবাইতে ডিজিটাল জীবন তৈরি এবং উন্নত করার জন্য উন্নত কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে।

তবে সমলোচকরা বলেছেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এ ডিজিটাল প্লাটফর্মে সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকারকে এ খাতে গভীর মনোযোগ দিতে হবে।