নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কয়েছ

বাংলাভাষী ডেস্ক :

বাবা আর চাচাদের পথ ধরেই হাঁটতে শুরু করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদে এবার প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী পরিবারের ক্লিন ইমেজের এই সাবেক ছাত্র নেতা। বলছেন ছোট বেলা থেকেই তারঁ পরিবারের বড়দেরকে মানুষের সেবায় কাজ করতে দেখেছেন। নিজেরও ইচ্ছা মানুষের সেবা করার। একারণেই প্রার্থী হচ্ছেন। নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করবেন। 
গোটাটিকর ষাটঘরের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছের পিতা মরহুম জমির উদ্দিনও ছিলেন সিলেটের একজন বরেন্য রাজনৈতিক নেতা। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সিলেট সদর মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বৃহত্তর সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন কয়েছের পিতা জমির উদ্দিন। শুধু তাই নয় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সদর মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। সিলেট কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আমৃত্যু সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সমবায় আন্দোলনে অসামান্য অদবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জমির উদ্দিন তিনবার রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছিলেন।  
জমির উদ্দিনের পুত্র জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছও পিতার উত্তরাধিকার সূত্রেই তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে কুচাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সেক্রেটারী এবং মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন জালাল উদ্দিন কয়েছ। সর্বশেষ ২০১৫ সালে গঠিত সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়ত্ব পান তিনি। রাজনীতিতে তাঁর ক্লিন ইমেজ থাকায় বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক ফোরামে বিভিন্ন সময় দায়িত্বপালন করেন কয়েছ। বর্তমানে তিনি গোটাটিকর দ্বি পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য । এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ওক্রিড়া সংঠটনের সঙ্গে জড়িত সৃজনশীল এই রাজনৈতিক কর্মী। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে জালাল উদ্দিন কয়েছ একজন সুপরিচিত ক্রিড়াবিদ। পাইওনিয়ার্স গ্রীণ ক্লাবের একজন ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। হকি এবং অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় তিনি ৮৮ সালে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন সিলেটে। 
জালাল উদ্দিনআহমদ কয়েছ বলেন, রাজনীতি বাবা করেছেন, ইউনিয়ন কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। চাচা জহুর উদ্দিনও মেম্বার ছিলেন দীর্ঘকাল। তাদের কাছ থেকেই পারিবারিকভাবে শিক্ষা পেয়েছি মানুষের সেবা করার। কিভাবে মানুষ এলাকার জন্য কাজ করতে হয় তা শিখেছি। তাই এলাকাবাসী, বন্ধু-বান্ধব শুভার্থীদের অনুরোধ ও পরামর্শেই প্রার্থী হচ্ছি। ২৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব। যাতে ওয়ার্ডবাসীকে বার বার উন্নয়ন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করার মানসিকতা আছে আমার। আমি সুযোগ চাই। ভোট ও দোয়া চাই। নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য ওয়ার্ড গড়ে তুলতে আমি আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।