পরিণতি

পরিণতি


       শাহারা খান
      
বয়স কুড়ি পেরোতেই মেয়েটি,
করলো শ্বশুরালয়ে আগমন।
সেইথেকে সাধ আহলাদ সব
করলো মেয়েটি বিসর্জন।

লম্বা ঘোমটা টেনে শুরু হলো,
তার অন্তপুর যাপন।
ভোরবেলা থেকে শুরু হতো রান্না,
সবাই যখন থাকতো ঘুমে অচেতন।

একটু রান্নার হেরফের হলে,
শুনতে হতো শাশুড়ী মায়ের গর্জন।
সেইসাথে দেবর ননদের তিরস্কার 
আর অন্যায় জ্বালাতন।

স্বামী তার অফিস পাগল,
অফিসে কাটান দিনের বেশিক্ষণ।
ঘরে ফিরে চাহেন সদা, 
বউ তারে করুক আদর যতন।

সারাদিন খেটে মরে বউ,
এদিকে নেই তার ভ্রুক্ষেপন।
সভা সেমিনারে তিনি বক্তৃতা দেন,
বন্ধ করো নারী নির্যাতন।

অল্প বয়সে করলো মেয়েটি,
তিনটি সন্তান প্রসবন।
সংসার সন্তান সব মিলিয়ে,
মেয়েটির কি যে করুণ জীবন!

সব জ্বালা তার দূর হয়ে গেলো,
সহসা মৃত্যুর সাথে হলো আলিঙ্গন।
হায়রে নিয়তি দূর্বলের প্রতি,
কেন চলে এমন নিষ্ঠুর আচরণ!