প্রবীন প্রণয়ে নবীন বাসুকি...

প্রবীন প্রণয়ে নবীন বাসুকি...

গাজী আনিস 

যে সেতারে উঠতো বেজে,

রৌদ্র-জ্যোৎস্না এবং স্বপ্ন সমুদয়

মেঘের মতো সূর্যোদয় কিংবা রঙিন মোহন সুর্যাস্ত। 

তাতে স্পন্দনের দ্যুতি নেই, 

নৈঃশব্দের হিমেল হাওয়া ধরেছে ঝাপটে

অমর্ত্য সুরে মেতে ওঠেনা বুলবুল পাপিয়া দোয়েল। 

মস্তিষ্কের কোঠরে বিষাদ,

সন্তান-হারা সদ্য প্রসূতির মতন আর্তনাদে

প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অঙ্কিত বিচিত্র আর্ত-শব্দাবলী। 

সুরের সোনালী পাড় উধাও, 

উড়ছে অমোঘ আমন্ত্রণের রেশমি নিশান

নক্ষত্রবীথির অন্তরালে কিংবা গহন রক্তকণিকায়।

যে নিঃশ্বাস সুন্দরের ধারক- 

সেখানে পড়ন্ত বিকেলের স্তব্ধ অসীমতা

এ-জন্যেই জীবনের বৈমাত্রেয় দ্বিপ্রহরে নেই সজীবতা। 

এতো বিষ কোথায় থাকে-? 

মানুষ কি সাপের চেয়েও অধিক বিষধর-?

তাইতো কবিতার শব্দ ছন্দের ফাঁকে শুয়ে থাকে লাশ।

ভাবতে অবাক লাগে, 

দু'চোখে কূলভাঙা জল হু-হু বয়ে যায় 

লানতের ভাষা অঙ্গারের মতো ধ্বক ধ্বক করে ঠোঁটে।