ফাগুনের ছোঁয়া

ফাগুনের ছোঁয়া

.
       জহুরুল ইসলাম 
চিরচেনা নিঠুর শীতের নিদারুণ শৈত্য প্রবাহে। 
হিমশীতল ঠান্ডার জ্বালা আর সহেনা এ পরানে। 
সইতে না পেরে শীতের পরশ ঝরে গেছে মোর পত্র পল্লব। 
ঝরাপাতা শ্রীহীন নির্লজ্জের মত ঠায় দাঁড়িয়ে আমি। 
আমার মনে রং নেই,নেই মুখে সেই ফাগুনের হাসি। 
দুমড়ে মুচড়ে আছি আমি সতীর বিরহ ব্যথায়। 
শীত মোরে করেছে  বস্ত্রহীন,লুটেছে আমার সম্ভ্রম। 
এ লজ্জা নাই ঢাকবার কেমনে বাচবো আমি। 
এত অপমান, এই শ্রীহীন শরমের কথা, 
কাকে বলবো আমি,কে শুনবে আমার কথা। 
ভালোবেসে কে শোনাবে বেঁচে থাকার অভয় বাণী। 

কোথায় ঋতুরাজ বসন্ত,যে ঘোচাই মোর মনের কালি। 
বাতাসের দিক পরিবর্তন জানিয়ে দিচ্ছে বসন্তের আগমনী পদধ্বনি। 
কিসের জ্বরা কিসের মলিনতা আমিতো আছি, 
আদিকাল হতে আবহমানকালের এ বাংলায়। 
মলিন বদনে হাসির ঝিলিক ফোটাতে এসেছি আবার। 
লজ্জা ঢাকতে নতুন কুঁড়িতে সাজিয়ে দেবো তোমার সর্বাঙ্গ। 
রঙিন সব বাহারি ফুল শোভা পাবে তোমার শাখা-প্রশাখায়। 
চিরযৌবনা হবে তুমি,উন্মুখ হয়ে দেখবে সবাই। 
চারিদিক মুখরিত হবে পাখির কুজন,আর কোকিলের কুহুতানে। 
প্রকৃতি সাজবে নতুন সাজে ধরা হবে ছায়া সুশীতল। 
চেয়ে দেখো আমি বসন্ত যে,আবার এসেছি এ বাংলায়।