ফারদিনের মৃত্যু: সদুত্তর পেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি স্থগিত

ফারদিনের মৃত্যু: সদুত্তর পেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি স্থগিত

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিভিন্ন বিষয়ের সদুত্তর পাওয়ায় আর কোন কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন সকল কর্মসূচি স্থগিতদের ঘোষণা করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে ডাক্তারের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ময়নাতদন্তে নিযুক্ত ডাক্তারের কথোপকথনের বরাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, শুরুতে ডাক্তার এটিকে হত্যা বললেও ফুটেজ বিবেচনায় আনা হলে ডাক্তার বলেন, এটি কিছুটা কিল ঘুষির মত; তাছাড়া জামা কাপড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শরীরে প্রাথমিকভাবে যে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে, সেগুলো লাফ দেয়ার সময় আঘাতেও ঘটতে পারে তিনি ধারণা করেছেন। তাই এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ফুটেজ বিষয়ে যখন আমরা ফারদিনকে শনাক্তের বিষয়ে জানতে চাই তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলে, লোকেশন ট্র্যাক করলে ঠিক ওই সময়ে যে ব্যক্তি ব্রীজ থেকে লাফ দিয়েছেন ঠিক সে সময়েই ফারদিনের ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং ঘটনার ১৫ মিনিট পর তার ঘড়িও বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এছাড়াও গত ২ বছর থেকে তার সঙ্গে কার কার কথা হয়েছে এভাবে প্রায় ১৫ হাজার লোকজনকে ডিজিটাল নজরদারি রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা এটিও বলেছেন যে, কেউ হত্যা কাণ্ড ঘটালে কিছু ক্লু রেখে যায়; যা ৪-৫ দিনের শনাক্ত করা হয়ে যায়। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু না থাকায় তা, এক মাসের বেশি সময় লেগে গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় মূলত পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলি। তাদের তদন্ত বা যা যা ডাটা দেখিয়েছেন এতে আর সন্দেহ করার মতো তথ্য আমাদের কাছে আর নাই। তাই ফারদিন মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের আর কোন কর্মসূচি নেই। ফারদিনের পরিবার যদি যৌক্তিক কোনো কিছু দাবি করেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। তবে আমাদের কাছে এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন করার মতো কোনো এলিমেন্ট নেই। ভবিষ্যতে যদি নতুন করে কোনো তথ্য আসে তখন বিষয়টি নিয়ে আবার কথা বলব।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরে যান ফারদিনের ২০ জন সহপাঠী। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তারা বৈঠক করেন। তখন ওই শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসে ফিরে সবার সঙ্গে কথা বলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারই একদিনের মাথায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিন নূরের মৃত্যুর ঘটনায় সকল কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।