'বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব'

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বানাব আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ।

এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, শিশুদের কথা বিবেচনায় নিয়েই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। আমরা ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। সব মিলিয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে ২ কোটি শিক্ষার্থী। কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী, যারা আগামীতে এগিয়ে নেবে দেশকে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামাকাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন।

এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না-সেইসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠবে শিশুরা। তারা মানুষের জন্য কাজ করবে এবং মানুষের জন্য ত্যাগ করার মতো করে গড়ে ওঠবে। শিশুদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার দিকে নজর দিতে হবে। তাদের মেনে চলতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের এবং মানবিক গুণসম্পন্ন ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে পঁচাত্তরে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তাঁরা।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ফিরলেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন শিশু সমাবেশে।