বৃন্তি ( ৫ম পর্ব )  গোলাপের বাগান 

বৃন্তি ( ৫ম পর্ব )   গোলাপের বাগান 

মালা মুখোপাধ্যায় 

সেইই মেয়ে বৃন্তি কলেজে এসে শোনে

সরস্বতী পুজো বাঙালির প্রেম দিবস

আর চোদ্দই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ভ্যালেন্টাইস ডে

তার আগে অনেক অনেক ডে

মনে ধরে সবথেকে বেশি রোজডে। 

পড়ার মাঝে মাঝে মনে পড়ে হরেক রকমের কথা

যদি আজ থাকতে শিবুদা তোমায় দিতাম ছোট্ট গোলাপ একটা ।

ভাবতে তুমি আবাক হয়ে তোমার বৃন্তি মানুষ হলো কবে ?

সেদিন দুপুরে গাঁয়ের পাশে অজয় নদীর তীরে

আমি দেখছিলাম রাশি রাশি বালি

শীতের মিঠে রোদ

হাঁটু জল

তুমি পার হয়ে যাও ঐ দূরের দিকে

আরও দূরে

বালিতে তোমার মরিচিকা

মাথার উপর দিয়ে

একটি জাহাজ 

তুমি যাচ্ছো বিলেতে মস্তবড় ডাক্তার হতে। 

আমার সমস্ত বেহিসাবি সময়ের মাঝে

কলেজের অফ পিরিয়ডে এসে এলোমেলো

চুলে তোমার নরম হাতের ছোঁয়া

মনখারাপের মাঝে তোমায় দেখতে না পাওয়া

গভীর শ্বাসে তুমি

অনেক না বলা কথায় তুমি। 

তুমি কি জানো শিবুদা ?

বৃন্তি আজ অনেক অনেক গোলাপ 

তোমায় দেবে 

বিদেশে থেকে অবাক হয়ে ভাববে

জানলো কি করে  

উড়োজাহাজের ঠিকানা ? 

আমি দেখব আকাশের দিকে তাকিয়ে

উড়োজাহাজটাই একটা মস্ত বড়ো

গোলাপ হয়ে গেছে তোমার কাছে।

হা হা হা হা 

পেরেছে বৃন্তি

রোজ রোজ , রোজ

ফুটছে যে বাগানে

অতি সংগোপনে

রাখবে যতনে।