বর্ধিত সময়েও শেষ হয়নি কিনব্রিজের সংস্কার কাজ

বাংলাভাষী ডেস্ক:: সিলেটের কিনব্রিজ মেরামতকাজের জন্য প্রথম ধাপের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আরও দেড় মাস বাড়িয়েও শেষ হয়নি কাজ। এবার দ্বিতীয় ধাপে আবার সময় বাড়ানো হয়। এদিকে কয়েক দিন ধরে ব্রিজে মেরামতকাজে শ্রমিকদেরও দেখা মিলছে না। ফলে কিনব্রিজের নির্ধারিত মেরামতকাজ শেষ করতে আরও কত দিন সময় লাগবে, সেটি বোঝা যাচ্ছে না। এতে ব্রিজটিতে চলাচল বন্ধ থাকায় পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল প্রকৌশল বিভাগ গত ১৬ আগস্ট সিলেটের কিনব্রিজে মেরামত, নবায়নসহ নির্মাণকাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যানবাহন ও মানুষজন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পথচারীদের চলাচল বন্ধ করতে সেতুটির দুই পাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়। পরে ১৫ অক্টোবর পেরিয়ে গেলেও মেরামতকাজ শেষ না হওয়ায় আবার ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেরামতকাজের সময় বর্ধিত করা হয়। সেটি পেরিয়ে গেলে আবার গত ১ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় কিনব্রিজ মেরামতকাজের সময় বর্ধিত করে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপরও কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। কিনব্রিজের তদারককারী প্রতিষ্ঠান সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। সংস্কারকাজ করছে রেলওয়ের সেতু বিভাগ। সওজ সূত্রে জানা যায়, কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে ২০২০ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতু সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে সওজের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সিলেটের সওজ। একই বছরের জুন মাসে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় সংস্কারকাজ হচ্ছিল না। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময়ে কিনব্রিজ ঘুরে কোনো শ্রমিককে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ব্রিজের নিচের দুই পাশে অংশের ঢালাই, রঙের কাজ বাকি থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ব্রিজের দুই দিকেই টিনের বেড়া দিয়ে পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ব্রিজটির মেরামতকাজ পেয়েছে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সিলেটের দায়িত্বে থাকা মো. শিপন বলেন, দ্বিতীয় ধাপের বর্ধিত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির মেরামতকাজ শেষ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রেলওয়ের সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) জীষাণ দত্ত বলেন, ব্রিজের মেরামতকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কিছু অংশ ঢালাইকাজ করা হয়েছে। সেটি পরিদর্শন করেছেন সওজ বিভাগ। এতে তাঁরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। জীষাণ দত্ত বলেন, ঢালাই কাজের পর কিছুদিন সেটি রাখতে হয়। প্রকৌশলী ভাষায় সেটিকে কিউরিং পিরিয়ড বলে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে দুই দিন ধরে কাজ করা যাচ্ছে না। আশা করা যাচ্ছে, দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রিজটি উন্মুক্ত করা হবে।