বিশ্বজুড়ে কমেছে মৃত্যু-শনাক্ত

বিশ্বজুড়ে কমেছে মৃত্যু-শনাক্ত

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন রোগী শনাক্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২৩৯ জন। একই সময়ে নতুন করে ছয় লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এর আগের দিন শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্বে তিন হাজার ৩৬৯ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যায়। আর করোনা শনাক্ত হয় ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৭ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৮ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ১৬৭ জন।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে এখনো করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আছে ভারত। আর তিন নম্বরে ব্রাজিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ৩৯ হাজার ৫৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মারা গেছেন ৩৭২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৮ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ১৫ হাজার ৩৫৭ জন।

ভারতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭২৩ জনের। এ সময় মারা গেছেন চারজন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৭৭৬ জন। আর শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৫ জনে।

এছাড়া ব্রাজিলে একদিনে ১০৫ জন, ফ্রান্সে ১৫১, জার্মানিতে ৯১, রাশিয়াতে ২৬১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬৪ ও ইতালিতে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জনই রয়ে গেছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ২২৪ জনে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।