শীতকালে বাংলাদেশ

শীতকালে বাংলাদেশ

সালেহ মওসুফ

নিথর পাথরের মূর্তির মতো 

বৃটেনে সারি সারি বৃক্ষ 

দাঁড়িয়ে আছে নগ্ন , রুক্ষ 

পত্রহীন ক্ষত বিক্ষত ।

শাখায় শাখায় নেই প্রাণ

এ যেন সন্তানহারা

বিষন্ন মাতাপিতার চেহারা

দুঃখ বেদনার উপাখ্যান । 

জানালার কাছে একা বসে 

দুনয়ন মেলে তাকিয়ে 

মধুর রোমন্থনে হারিয়ে

আমায় ফিরে পেলাম

নিজ শহরে সবুজ গাছের পাশে।

শীতের রোদেলা মিষ্টি সকালে

নকশা আঁকা পিঠা হাতে 

এক চিলতে হাসিতে 

ডাকে রুপাঞ্জিলা সরল বোলে।

পূর্ণ পাত্র কানায় কানায় 

খেজুরের রসে

"শেষ করো এক নিঃশ্বাসে "

 বলে রুপাঞ্জিলা পরম মমতায়।

চন্দ্রমল্লিকা আর ডালিয়া

ফুটেছে দিঘির ওপার ঘেষে

সফেদার গন্ধ পাই বাতাসে

কন্ঠ ছেড়ে গায় গান

নীলশিরি পিয়াং

জলপিপি আর গিরিয়া।

পৌষ মাঘের শীতে বসে মেলা

মৃৎ , কারুপণ্য , চুড়ি , জড়োয়া 

বাঁশি, পুতলু খই , আর তিলুয়া

বিক্রি হয় কত পসরা 

মনের আনন্দে ছেলেমেয়েরা 

চড়ে নাগর দোলা।

শীতকালে গাছেরা বাংলাদেশে

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে হাসে 

রাঙিয়ে শাখা ফুলের সুবাসে

বসন্তকে করতে বরণ শীতের শেষে।