পথহারা

পথহারা

 সঞ্জয় কুমার কর্মকার 

হৃদয় গহীনে স্বাচ্ছন্দ্যতা আর নেই, ঘনশীতল অন্ধকারে বুকের গহীনে শব্দরূপ গাঁথার ও যোগ্যতা আমার নেই।

স্রোতের জোয়ারে পারগমনের স্পর্ধা রেখে আঁধারের মালা গেঁথে মহিমার অনন্ত কণ্ঠের ধ্বনিতে বাজো হে প্রিয়।

ভীষণ উদ্ভট সুরে,অস্থিরতার মাঝে বিদায় দিয়ো বসন্তের এই মধুর বেলায়।

খানিকটা উষ্ণ ছোঁয়া, তীব্রতা মিশিয়ে এ ঘূর্ণির ঝিরি বৃষ্টির বাতাস মিশিয়ে রূপের অঙ্গ বদলে দিয়ে যাও।

এ বোধ যেনো হাসি অন্তর, অপূর্ব গন্ধ অনুরাগে প্রাণের অন্তরে ভরা, এ বোধ যেনো সুখের পরশে অগ্নিনিশ্বাসের মতোন জলপ্রপাতের অসমতল ধারায় গিয়ে মিশে যাওয়া।

এই বসন্তের রৌদ্রময়ে কতোই বঞ্চনার ঝিরি বিন্দুর ফোঁটা,রক্তলোহিত পিচ্ছিল পথের পাশে অচেনার কতো কন্ঠ ডাকের মাঝে কী ভীষণ কম্পণে ছবির মতোন স্পর্শ করে গেলো।

পথহারা প্রাণোচ্ছ্বাসের মর্মধ্বনিতে নিরব-নিস্তব্ধ মনে কতোই কন্ঠ আকুলে গেয়ে চলে গেলো।

 

আঁধারের বাঁধন ভেঙে আকুলতায় খোঁজে দিগন্তের উৎসস্রোতে মনের এ গূঢ় অন্ধকার,

এসো হে—

 বন্ধহীন দাহনের বেলায় এ জগৎ যেনো অসহায় নির্মম জনহীন পথের ই ধারা......

এ পথ বিশ্বাস জাগায় প্রাণের টানে,কোথাও যে দুর্গম অরণ্য, কোথাও মরুভূমিতে অবগুণ্ঠিত সেই গানের ঐশ্বর্যের মাঝে চিরন্তন হয়ে থাকে।

ভালোবাসার বাণীতে অলংকারে সাজাও, এই নদী স্মৃতির পটের জনশূন্য পুকুরের ঘাট, নিস্তব্ধ নির্জন ছায়াহীন দীর্ঘ পথের পাশ বেয়ে কতোই করুণ স্নিগ্ধ কণ্ঠরা মুগ্ধ করে গেলো।।