সম্পর্ক

সম্পর্ক

ডালিয়া মুখার্জী

লোকটাকে মারতে মারতে রণদেবর মুখে থুথু জমা হয়ে গেলো,

"হারামজাদা, কি কেমন লাগছে"

জানোয়ারর মত একটা মেয়েকে ছিড়ে খুঁ ড়ে খেলি এবার দেখ কেমন লাগে"

ইন্সপেক্টর রণদেবের আজ মাথায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এই লোকটা।

একটা ফুলের মত ১৩/১৪ বছরের মেয়ে কে রেপ করে প্রায় আধমরা করে দিয়েছে। 

সেই মেয়ে এখন আইসিইউ তে জীবন মরণের লড়াই করছে। 

রণদেবের মাথা দপদপ করছে হাই প্রেশারে।

পুলিশ স্টেশনে বাইরে আসতে হবালদার হরিহর এক কাপ চা রণদেবের হাতে দিয়ে বললো

স্যার এত মাথা গরম কেন করছেন নিজের শরীর খারাপ হবে এতে।

রণদেব এক দলা থুথু মাটিতে ফেলে বললো আমার হাত পা বাঁধা নাহলে এখানেই শেষ করে দিতাম ওই জানোয়ারটাকে।

মাথা ধরা নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে রণদেব। 

বউ অঙ্কিতা বুঝত পারে কিছু একটা হয়েছে। অঙ্কিতা তারাতাড়ি খাবার গরম করে খেতে দিয়ে নিজেও সাথে খেয়ে নেয়। 

রাতে শোবার আগে রণদেব নিজের ছোট্ট মেয়ের রুমে গিয়ে দেখে মনিমালা অঘোরে ঘুমিয়ে আছে মেয়ের লেপটা ঠিক করে রণদেব মনিমালার কপালে আদর করে বিড়বিড় করতে করতে বেড়িয়ে আসে.... 

বলতে থাকে ছিড়েখুঁড়ে খেয়েছে মেয়েটাকে কি অবস্থা করছে ওইটুকু বাচ্চা মেয়ে টাকে।

অঙ্কিতা বলে তুমি শোবে চলো আমি তোমার মাথা টিপে দিচ্ছি। 

অঙ্কিতা রণদেব কে নিয়ে শোবার ঘরে এসে লাইটটা নিবিয়ে রণদেবর মাথা টিপতে থাকে। 

হঠাৎ করে অঙ্কিতা বুঝতে পারে রণদেবের শরীর জাগছে সরীসৃপের মত আঙ্গুল অঙ্কিতার শরীরে ঘুরতে থাকে

অঙ্কিতা বলে আজ না রণদেব আমার শরীর খারাপ সকাল থেকে জ্বর মত... 

রণদেব কিছুই যেন শুনতে পায় না... 

পশুর মত ভোগ করে অঙ্কিতার শরীরটাকে।

অজান্তেই অঙ্কিতার চোখ দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। 

সত্যি কাল থেকে অঙ্কিতার শরীরটা খুবই খারাপ। 

তার মধ্যে সংসারে সব কিছুই করতে হয়।

রণদেব কিছুই খবর রাখে না।

ওর শরীরে ক্ষিদে মেটাতে প্রতি রাতে শরীর মন বিধস্ত হয়ে যায় অঙ্কিতার।

এটাও তো সামাজিক রেপ।

কিন্তু সমাজ তো বলে স্বামী কে খুশি রাখা স্ত্রীর কর্তব্য। 

কেউ কি বোঝে..... 

ঘরের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে রণদেবের কথা গুলো...

"জানোয়ারের মত ছিড়েখুঁড়ে খেয়েছে মেয়েটাকে"।