১৮৮ রানে হারল বাংলাদেশ

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সব প্রতিরোধ ভেঙে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম টেস্ট ১৮৮ রানে জিতে নিয়েছে ভারত। তারা বাংলাদেশকে অলআউট করে ৩২৪ রানে। এজন্য পঞ্চম দিনে সময় নিয়েছে ৪৯ মিনিট। ওভার লেগেছে ১১.২ টি। আগের দিনের রানের সঙ্গে বাংলাদেশ এ সময় যোগ করে ৫২ রান। সাকিব করেন ৮৪ রান। বাংলাদেশ শেষ তিন উইকেট হারায় পাঁচ রানে। অল আউট হয় ৩২৪ রানে।

বাংলাদেশকে যখন ৫১২ রান অতিক্রম করার টার্গেট দিয়েছিল ভারত, তখনই তাদের জয় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দেখার বিষয় ছিল সেই জয়টি পেতে তারা কতক্ষণ সময় নেয় এবং কত রানের ব্যবধানে জিতে? কিন্তু ভারতের সেই জয়ের পথে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ।শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান, পরে সাকিব আল হাসান। তাদের এই প্রতিরোধ ভারতের জয়কে শুধুই বিলম্বিত করেছে।

চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে প্রতিরোধ করা সাকিব পঞ্চম দিন শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। সঙ্গী অপর ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ খুব বেশি সময় দিতে পারেননি সাকিবকে। দিনের শুরুতেই মিরাজ আউট হয়ে যান আগের দিনের রানের সঙ্গে মাত্র চার রান যোগ করে ১৩ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে উমেশ যাদবের হাতে ধরা পড়ে।

মিরাজ আউট হয়ে যাওয়ার পর সাকিব তাইজুলকে নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। তাইজুলকে অনেকটা দর্শক বানিয়ে তিনি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। আকসার প্যাটেলকে ছক্কা মেরে পূর্ণ করেন নিজের ৫১তম ফিফটি। ৮০ বল খেলে ছক্কা মারেন চারটি, চার মারেন তিনটি।

সঙ্গীরা সব বোলার হওয়াতে সাকিব ধরেই নিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে তেমন একটা সাপোর্ট পাবেন না। তাই যতটুকু সম্ভব রান বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এখানে আক্রমণ করা ছাড়া আর বিকল্প কোনো রাস্তা ছিল না। তাই হাফ সেঞ্চুরি করার পরও তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন। এ সময় যে ৩৪ রান যোগ করেন, সেখানে বল খেলেন মাত্র ২৮ টি। দুটি ছক্কার সঙ্গে ছিল তিনটি বাউন্ডারি। সাকিব যেভাবে খেলছিলেন তাতে দলের হার এড়াতে না পারলেও সেঞ্চুরি সম্ভাবনা তিনি জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ৮৪ রানে তাকে থামিয়ে দেন কুলদীপ। সুইপ করতে গিয়ে সাকিব বোল্ড হয়ে যান। শেষ হয় তার ১০৮ বলে ছয়টি করে চার-ছক্কা মেরে ৮৪ রানের ইনিংসের। সাকিব আউট হওয়ার পর বাকি দুই উইকেট নিতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতীয় বোলারদের। দলীয় ৩২৪ রানেই আউট হয়ে যান এবাদত ও তাইজুল। এবাদতকে কুলদীপ ও তাইজুলকে প্যাটেল আউট করেন। দুজনেই কোনো রান করতে পারেননি। ভারতের হয়ে আকসার পেটেল ৭৭ রানে চারটি ও কুলদীপ যাদব ৭৩ রানে নেন তিনটি উইকেট।